অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ জলিলের, বিপাকে পরিবার নিয়ে অসহায় স্ত্রী
৮২ Views
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মোঃ জলিল হাওলাদার (২৬) এর। দীর্ঘদিন স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ছোট্ট ১ ছেলে সন্তান ও শ্বশুর শাশুড়ী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী পলি বেগম। মানুষের কাছে হাত পেতে বা এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পরিবারের পেটে জুটছে কিছু ডাল ভাত, তবে হচ্ছে না অসুস্থ স্বামীর ঠিকমতো চিকিৎসা।
মোঃ জলিল হাওলাদার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিনুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। কৌখালী বাজারে একটা ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে চলতো তাদের সংসার জীবিকা নির্বাহ। বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়।
দীর্ঘ ৪/৫ বছর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে ধরা পড়ে জলিল হাওলাদারের দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত। এরপর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। মোটামুটি সয়সম্ভল থাকলেও তা স্বামীর চিকিৎসায় খরচ করেছেন।
দীর্ঘ ৪/৫ ধরে এভাবেই মানুষের সাহায্যের টাকায় ও স্ত্রী পলি বেগম সেই ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা চলছে কোনো রকমের; কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা বলেছেন, জলিল হাওলাদারের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই স্ত্রীর। স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পলি বেগমের। তার ওপর সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়ে সুস্থ না হয়ে দিনদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
এলাকার বাসিন্দারা সরেজমিনে জানান, জলিল হাওলাদার এলাকার মধ্যে একটা ভালো ছেলে। ওর মতো ছেলে এলাকায় আর হয়না। সবার সাথে ভালো আচরণ ব্যবহার করে চলতো। থাকতো হাসিখুশি। সেই ছেলেটা আজকে দীর্ঘদিন ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে ধুকে ধুকে মরছে। সংসার আর স্বামীর চিকিৎসার জন্য কতোই না কষ্ট শ্রম দিচ্ছে বউটা। আমাদের খুব কষ্ট হয়। তবে আমরা যে যা পারছি মোটামুটি সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। আমরা সরকার ও প্রশাসন এবং বিত্তবান সহ প্রবাসীদের নেক দৃষ্টি কামনা করছি পরিবারটির জন্য।
বৃদ্ধ বাবা আমিনুদ্দীন বলেন, আমার ছেলেটা জন্য সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেটাকে বাচান, আমার ছেলেটার পরিবারকে বাচান।
স্ত্রী পলি বেগম বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তাতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তা এখন আর ঠিকমতো পারছিনা। আমি চারপাশে শুধু অন্ধকার দেখছি। আলো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি সরকার ও প্রশাসন এবং সমাজের বিত্ত হৃদয়বান ব্যক্তিদের ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। যদি আমার এই কষ্টের সময় কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আমি মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত পেতে দোয়া করবো। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (বিকাশ ও নগদ- (স্ত্রী পলি বেগম) ০১৭৭১৩৮৬১৪১ এবং যোগাযোগ- (আত্মীয়) ০১৭৩৭৮০৪২২৪)