বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেত্রকোণার কন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযানে  আটক-৮ : নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ

নেত্রকোণার কন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযানে  আটক-৮ : নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ

২২৮ Views

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোণা : নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৯ জুয়ারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাচঁতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। অভিযান চলাকালে কোন জুয়ারী নিখোঁজ হয়েছে, স্বজনদের এ দাবী অস্বীকার করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউপির তাম্বূলিপাড়া এলাকার কৈজানি নদীতে।
নিখোঁজ হালিম মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদ (সুনু মিয়া) এর ছেলে।
আটকৃত জুয়ারীরা হলেন, মদন উপজেলার হারিকুল (৩৬) ইসলাম (৫৩), শরীফ আহমেদ (২৯), আলমগীর হোসেন (৪২), রফিকুল ইসলাম (৩৫), নেত্রকোণার সদর উপজেলার সুমন মিয়া (৩৬), আটপাড়া উপজেলার মুস্তাকিম (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আতাউর রহমান (৩০)।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী জুয়ারী চক্র বেশ কিছুদিন যাবৎ কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তাম্বূলিপাড়া এলাকায় কৈজানি নদীতে ট্রলারে জুয়ার আসর বসিয়ে জুয়া খেলা চালিয়ে আসছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দুুয়া থানার পুলিশ শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে জুয়ার আসরে হানা দেয়। এ সময় জুয়ারীরা পুলিশের হাত থেকে বাচঁতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ ৮ জুয়ারীকে আটক করতে পারলেও অন্য জুয়ারী সাতরিয়ে নদীর তীরে উঠে পালিয়ে যায়। পরিবার ও স্বজনদের দাবী নদীতে ঝাঁপ দেওয়া জুয়ারীদের মধ্যে হালিম (৩৫) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজনরা রাতভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শনিবার সকাল বেলা কেন্দুুয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। কেন্দুুয়া ফায়ার সার্ভিস দুপুর পর্যন্ত নদীতে তল্লাশী চালিয়ে নিখোঁজ হালিমের সন্ধ্যান না পেয়ে অবশেষে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরীকে খবর দেয়। ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরী দল এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালােেলও হালিমের কোন সন্ধ্যান পাননি। হালিম মিয়া নিখোঁজ থাকায় পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নিখোঁজ হালিম মিয়ার সহপাঠী জুয়েল মিয়া জানান, হালিমসহ আমরা কয়েকজন নৌকায় জুয়ার আসরে খেলতে এসেছিলাম। পুলিশ কৌশলে অন্য নৌকা দিয়ে আমাদের নৌকায় উঠে পড়ে। পুলিশ দেখে যে যেভাবে পারে পানিতে ঝাঁপ দেয়। আমিও হালিমের সাথে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার খেটে তীরে উঠতে পারলেও হালিম তীরে উঠতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কেন্দুুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে জুয়ার আসরে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। ২০/২৫ জন জুয়ারীর মধ্যে ৮ জনকে আটক করা হয়। অন্যরা সাঁতার কেটে তীরে উঠে যায়। আটককরা আসামিদের তথ্য অনুযায়ী কেউ নিখোঁজ হয়নি।

 

Share This