সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

Views

মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে ২ ফেব্রæয়ারী’২০২৫ইং রোববার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা ভৌগলিক করনে দেশের শেষ প্রান্তের অবহেলিত একটি জেলা। এ জেলায় কোন শিল্প কল কারখানা নাই। গরীব খেটে খাওয়া অধিকাংশ শ্রমিক দেশের উন্নত জেলায় গিয়ে জমিতে, কল কারখানায়, গার্মেন্টস বা রিক্সা, ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্ভর করে। এ জেলায় শিল্প বলতে উন্নত প্রযুক্তির জিগ জাগ ইট ভাটা রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় বিদ্যমান ইট ভাটার সংখ্যা প্রায় ১’শ টি রয়েছে। ইটভাটা গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মরত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এই ভাটাগুলি প্রায় ৩০ হতে ৩৫ বৎসর পূর্ব থেকে পরিচালনা হয়ে আসছে। জানামতে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই ইটভাটা গুলি দেশের প্রচলিত আইনে সকল প্রকার কাগজ পত্র হাল নাগাদ করে ভাটা পরিচালনা করে আসছিল। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৩ইং আইনের আওতায় এসে অধিকাংশ ইট ভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র পান নাই। সঙ্গত কারনে জেলা প্রশাসক কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান করা হয় নাই। তখন থেকে এই ইট ভাটাগুলি অবৈধ হিসাবে আখ্যায়িত হয়ে আসছে। পরিবেশ ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক লাইসেন্স না পেলেও এই ভাটাগুলি যথারীতি কাষ্টমস ভ্যাট, আয়কর, ভাটায় ব্যবহৃত জমির বাণিজ্যিক হারে খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার লাইসেন্স, শ্রম অধিদপ্তর লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রতি বৎসর ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রতিটি ইট ভাটা রাজস্ব প্রদান করে আসছে। বর্তমান সময়ে ইটভাটার উপর বিভিন্ন ধরণের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান থাকায় মারাত্মক ব্যবসায়িক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ইটভাটার মালিকরা। সেই সাথে ইটভাটার সাথে যুক্ত প্রায় অর্ধ লক্ষ শ্রমিক তাদের জীবিকা হারাতে বসেছে। বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে ২ ফেব্রæয়ারী’২০২৫ইং রোববার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লুৎফর রহমান বকসী বলেন- কুড়িগ্রামের মাননীয় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আপনি এ জেলার শুধু জেলা প্রশাসক বা জেলা ম্যাজিট্রেট নন, এ জেলার অভিভাবক ও জন সেবকও বটে। এই অবহেলিত জেলার ইট ভাটার অধিকাংশ মালিকগন ঋন, কর্জ করে অগ্রিম ইটের টাকা নিয়ে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে। এই ঋনকৃত টাকা থেকে ভাটার মৌসুমের প্রায় ০৬ (ছয়) মাস পূর্বে শ্রমিক কর্মচারীদের বড় অংকের টাকা অগ্রিম জ্বালানি, কয়লা খরিদ কাচা ইট তৈরী সব মিলে অনেক বড় অংকের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে থাকে, ভাটা বন্ধ হলে উক্ত বিনিয়োগ কোন ভাবে পুরন করার মত না। সেই সাথে ভাটা মালিক/ শ্রমিকের জীবিকার উপর আঘাত হানার শামিল। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ জেলার অভিভাবক হিসাবে আপনার নিকট নিবেদন, দয়া করে ভাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাপক জনগোষ্ঠির দিক বিবেচনা করে এ বৎসর ৩ মাস সময় দিয়ে ভাটা পরিচালনার সুযোগ দেয়া হোক।

Share This

COMMENTS