শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর চরে বালু মহাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত

নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর চরে বালু মহাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত

৫২ Views

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর চরে বালু মহালে অবৈধ ভাবে বালু তোলা নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে এর মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে। গতকাল ঢাকার ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংগঠন তারা প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করে। তারা বালু উত্তোলন করার জন্য গতকাল লোকজন নিয়ে কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসানোর জন্য পাহাড়পুর ও বনগাও এর নিকট নদীর তীরে গেলে অপর পক্ষের বিএনপির যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে পারকুল গ্রামের হেলাল আহমদ, রিপন আহমদ,ছাত্রদল নেতা সাজু আহমদ, সুমন ,রুবেল, রুয়েল ও সাজিদ গংরা বলে আমরা বিএনপির লোক আমাদের কে না জানিয়ে কোন বালু উত্তোলন করতে পারবে না। তখন ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের ওয়াহিদুল ইসলাম জানান তিনি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছেন।তখন তার কথায় কর্ণপাত না করে ছাত্রদল নেতা সাজু, যুবদলের হেলাল গংদেও নেতৃত্বে ১৫/২০ তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ফলে উভয় পক্ষের লোকজন এর মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় যুবদলের নেতা হেলাল আহমদ, ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের এমরান আহমদ, নুরুল আমিনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। এবিষয়ে পারকুল গ্রামের ছাত্রদল নেতা সাজু আহমদ জানান, সে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিচ্ছে, সে লোকাল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিজে বালু উত্তোলন করছে। তার অনুমতি ছাড়া আর কেউ বালু তোলার কথা নয়। কাগজ পত্র দেখানোর কথা বলা হলে তিনি বলেন এসব সময় মতো দেখানো হবে। যুবদল নেতা হেলাল আহমদ বলেন, তার জায়গায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এই জন্য বাঁধা দিচ্ছেন, আমাদের কোন অনুমতি ছাড়াই ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। এবিষয়ে ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার রাজিব রহমান বলেন, আমাদের কোম্পানী হবিগঞ্জ ডিসি অফিস ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। ছাত্রদল নেতা সাজু আহমদ ও যুবদলের হেলাল আহমদ আমাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে আমরা দেইনি বলে আমাদের কাজে বাঁধা দিচ্ছে।
এদিকে উক্ত বালু মহালে গত দুদিন ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।ফলে একাধিকবার সেনাবাহিনীর টহল টিম অবৈধ বালু খোকোদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল মতিন আছাবকে আটক করা হলে তিনি মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পান। তিনি আর কখনও অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে যাবেন না। এর পওে ঐএলাকার যুবদল নেতা হেলাল আহমদ ও ছাত্রদল নেতা সাজু আহমদ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সুত্রটজন্য।তার প্রেক্ষিতে গতকাল সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।

Share This