জামাত কর্মী হওয়ার অপরাধ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা ভাংচুর লুটপাট
৮২ Views
দিনাজপুর প্রতিনিধি ; পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামাতকর্মীর বাসাবাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট নারী শ্লীলতাহানির ঘটনায় ইয়াছমিনের পরিবারের পুরুষ লোকজনরা বাড়ি ছাড়া হয়েছে। মামলা তুলে নিতে প্রতিপক্ষরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছে ইয়াছমিনের পরিবারের লোকজনরা।এই পরিবারে পুরুষ মানুয বলতে নাই। তারা মামলা হামলার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।ৃ ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার ১ নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের বড়ইল গ্রামে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ার মৃত জিয়াউদ্দিন আহাম্মদের স্ত্রী রেহেনা খাতুন গত ১০/৮/১৯৮৪ সালে ১৮৯৮৩ নং দলিল মুলে মোর্শেদা খাতুনের জমি জাল দলিল তৈরী করে গত ২৭/৪/২০১১ সালে ৪৫৮১ নং দলিল মুলে দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার সুবড়া গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের পুত্র আনিছুর রহমানের কাছে ১একর ২২ শতক জমি বিক্রি করে দেয়। এই কবলার দাবি ধরে আনিছুর রহমান গত ৭/৬/২০১১ ইং তারিখে ৫৭০৫ নং কবলা দলিল মুলে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম এসপির মামাতো ভাই সদর উপজেলার চাউলিয়াপট্টির মৃত আবুজারের পুত্র শামীম কবিরের কাছে বিক্রি করে দিলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।জাল দলিলের বিযয়টি জানাজানি হলে ইয়াছমিনের মামি মোর্শেদা খাতুন বাদি হয়ে দিনাজপুরের বিজ্ঞ ১ ম শ্রেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং ১ এ গত১৬/৫/২০১৩ ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন। মামলার নালিশী জমির দলিল যাছাই বাছাই তদন্তের জন্য গত ৩১/৭/২০১৩ ইং তারিখে সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরন করেন। সদর সাব রেজিস্ট্রার মনিরুল হক প্রধান গত ২৫/৯/২০১৩; ইং তারিখে ৩১৯ নং স্বারকে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রকিবেদনে বলা হয়েছে রেহানা খাতুন ১ একর ২২ শতক জমি জাল দলিল তৈরী করে আনিছুর রহমানের কাছে বিক্রি করেছে। প্রকৃত জমির মালিক মোর্শেদা খাতুনের ৩ দাগে ৪৮ শতক এবং ইয়াছমিনের মা আমেনা বেওয়ার ৭৪ শতক। অপর দিকে ইয়াছমিনের মা আমেনা বেওয়া দিনাজপুর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮৭/১২ অন্য।
আদালতের মামলার পরিপেক্ষিতে সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে তদন্ত প্রতিবেদনে জাল দলিল প্রমানিত হলে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির মামাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা শামীম কবির ক্ষিপ্ত হয়ে জামাতকর্মি আলহাজ্ব আমিনুল( কবিরাজ) মোখলেছুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিকএর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের জাতীয় নিবার্চন ভোটকেন্দ্রে হামলা হিন্দু সম্প্রদায় লোকদের ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার মামলা নং জিআর ৬/১৪ এবং জি আর ৭/১৪ নং মামলা সহ প্রায় ১০/১২ টি রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। রাজনৈতিক মামলায় ইয়াসমিনের পরিবারের লোকজনরা সর্বসান্ত হয়ে যায়। অপর দিকে জুলাই – আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর আনিছুর রহমান (বাদশা) পুর্ব শক্রতার জের ধরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ২/৯/২৪ ইং তারিখে রাত অনুমানিক সারে ৯ টা দিকে কালিতলা শাহ ফতে আলী বাস কাউন্টারে মোখলেছুর রহমানকে বেধরক মারধোর করে। এতে সে আহত হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়। চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসতে না আসতে দিনাজপুরে হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নিহত রাহুল হত্যার মামলায় জামাতের কর্মী মোখলেছুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম ( কবিরাজ), আবু বক্কর সিদ্দিক এর নাম ডুকিয়ে দেয়। এমন কি গত ৬/১০/২৪ ইং তারিখে জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের ১০ নং রুমের এডভোকেট মানিকের চেম্বার থেকে আনিছুর রহমান বাদশার ভাড়াটিয়া লোকজন জামাতের কর্মি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ( কবিরাজ) কে টেনে হেছড়ে মারধোর করে আওয়ামী লীগের কর্মি বলে থানায় ধরিয়ে দেয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নিবার্চনে কেন্দ্রে হামলা ভাংচুর, ভোট প্রদানে বাধার মামলা নং ৬/২০১৪ এবং ৭/ ২০১৪ নং মামলার আসামী আনিছুর রহমান বাদশা এবং আমিনুল ইসলাম (কবিরাজ) দু-জনের নাম থাকলেও রহস্য জনক কারনে কোতয়ালী থানার মামলানং ১১ /২০২৪ রাহুল হত্যা মামলায় নাম জড়িয়ে পুব শক্রতার খায়েশ মেটানোর চেস্টা করে। যাতে করে আমিনুল ইসলাম( কবিরাজ) বাহিরে না থাকে। আমিনুলের দুভাইসহ তার দুলাভাই মোখলেসুর রহমান কে জড়িয়ে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে আসছে প্রতিপক্ষরা। বিভিন্ন মামলা হামলার ভয়ে পুরুষলোকরা যখন বাড়ি ছাড়া সেই সুযোক কে কাজে লাগিয়ে আনিছুর রহমানের পোষা বাহিনীর লোকজনা নারী শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।এব্যাপারে নারী শিশু নিষাতন দমন আইনে দিনাজপুর আদালতে মামলা হয়েছে। বিযয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজর দেয়া দরকার।