সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় ওএসডি
৩৬ Views
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ; সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আ.ফ.ম ওবায়দুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে তাকে ওএসডি করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর আগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডা. রামপদ রায় সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, সিরাজগঞ্জ সদর, রায়গঞ্জ, কাজীপুর ও কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ২০১১ সালে অবৈধভাবে এডহক থেকে নিয়োগকৃত মেডিকেল অফিসার দিয়ে বিগত ৫ বছর যাবত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মরত রয়েছে। এবিষয়ে স্বাস্খ্য অধিদপ্তর বরাবর সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কোন প্রতিবেদন দাখিল না করার অপরাধ ও একটি হসপিটালে লাইসেন্স নবায়নের নামে সিভিল সার্জন অফিসের মতিয়ার রহমানের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সুত্রে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে। বিগত ৪ বছর ধরে সিভিল সার্জন থাকাবস্থায় স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানান রকম দূর্নীতি করে আসছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: জাহিদুল ইসলাম এর সহযোগিতায় বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের নামে ঘুষ গ্রহণ, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ঘুষ না দিলে প্রতি মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায়ের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি মাসে ঘুষ গ্রহণ করতো এই সিভিল সার্জন। এছাড়া টেন্ডারের নামে নৈরাজ্য, প্রতিটি ডাক্তার, কর্মচারীকে বদলীর নামে ঘুষ গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলা থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মানি ভাতার ১৫% সিভিল সার্জন কর্তন করে রেখে দিত বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অপকর্মের করনেই হয়তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে ওএসডি করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।