
বাঘায় শতভাগ গাছে আমের মুকুল-চাষিদের হাসি মুখ

বর্তমানে আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ ভাবে আসচ্ছে। হিমসাগর, চোষা, ল্যাংড়া, নাগ ফজলি, আলতাপেটি, রানি পছন্দ, দুধ সর, আম্রপালি, লক্ষনভোগ, ফজলি ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয় এ অঞ্চলে।
সরেজমিনে আমচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এ বছর ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন। আর আশাও করা যাচ্ছে এ বছর সর্বত্র আমের মুকুল দেখা দেওয়াই ভালো ফলন হবে। বাঘা উপজেলার আটঘরিয়া বলিহার,মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া, বাউসা অঞ্চলে আম গাছের পরিমান বেশি।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আম চাষী মন্টু ইসলাম বলেন, আমার ১ টি বড় বাগান আছে যেখানে প্রায় সকল ধরণের আম গাছ আছে। প্রতিটি আম গাছে গত বছরের চাই এ বছর পর্যাপ্ত মুকুল দেখা দিয়েছে। এ বার মুকুল আশার সময়ে কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাঘা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানিয়েছেন, এ বছর বাঘায় প্রতিটি অঞ্চলে গাছে গাছে মুকুলের সমারহ দেখা যাচ্ছে। গাছে গাছে মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। আমরা সব সময় আধুনিক পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত আম চাষী ও গাছ মালিকদের সঠিকভাবে মুকুল পরিচর্যা করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।