গল্পঃ # লাল_বেনারসি শাড়ি
মোসাব্বর হাসান মুসা স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভেজা চুলে মাত্র গোসল শেষ করে বের হয়েছে পাশের বাড়ির মিতু।
– আমি জানালার গ্রীল ধরে তাকিয়ে আছি তার দিকে,,
-ভেজা কাপড়ে মেয়েদের এতো সুন্দর লাগে জানা ছিলোনা।
তার উপড়ে আবার নতুন যৌবন।
চুলের পানিতে পুরো ভিজে যাওয়া কাপড় মিতুর শরীরে লে*প্টে লেগে আছে,,
– এই অবস্থাতে যে কেউ মিতুর দিকে তাকালে নির্ঘাত প্রেমে পড়ে যেতো।
-হটাৎ মিতুর চোখ আমার দিকে পড়ে গেলো,,
একটা কাপড় টেনে তার *শরী*র ঢাকার চেষ্টা করছে,
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি দেখে মিতু অনেকটা লজ্জা পেলো।
তাই নিচের দিকে তাকিয়ে আছে মিতু,,
– লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া লজ্জাবতী মিতুকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো ।।
-আমার দিকে তাকিয়ে টোল পড়া গালে ঠোট বাকিয়ে ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে রুমে চলে গেলো মিতু।
-আমি শুভ্র ইসলাম, আর মিতু হলো আমার ক্লাসমেট।
আমার জিবনে বাল্যকালের প্রথম বন্ধু মিতু।
– আজ আমার আর মিতুর S.S.C রেজাল্ট দিবে, তাই খুব ট্যানশনে জানালার গ্রীল ধরে দাড়িয়ে ছিলাম,
কিন্তু এইভাবে মিতুকে দেখতে পাবো ভাবতে পারিনি,
নিজেকেই খুব লজ্জা লাগছে।
-খুব ছোটোবেলা থেকেই ভালোবাসি মিতুকে,
আজো মিতুকে বলতে পারিনি ভালোবাসার কথা, মিতু আমাকে ভালোবাসে কিনা জানিনা।
– মিতু বড়লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে, আর আমি তাদের তুলনায় অনেক গরীব।
মিতুর বাবা ও ভাইয়ের অনেক অহং*কার, কিন্তু মিতুর মাঝে তেমন কোনো অহং*কার আমি দেখতে পাইনি।
.
-এখনো জানালার গ্রীল ধরে দাড়িয়ে আছি, আর সেই ছোটোবেলার পুরোনো দিনের কথা মনে করে হাসছি।
ভাবতেই অবাক লাগে, কিভাবে যে কে*টে গেলো সেইসব দিন।
কেউ একজন আমাকে চিম*ঠি কা*টায় বাস্তবে ফিরে এলাম, তাকিয়ে দেখি মিতু,,
– তখন জানালা দিয়ে কি দেখছিলিরে ওই ভাবে? (মিতু)
— ওইযে একটা লজ্জাবতী পে*ত্নীকে দেখছিলাম। (আমি)
– কি বললি আমি কি পে*ত্নীর মতো দেখতে, (মিতু)
— আরে না তুই পেত্নীর মতো হতে যাবি কেনো? তুই তো কিংকং মুভির নাইকানির মতো দেখতে। (আমি)
– দেখ ভালো হচ্ছেনা কিন্তু, এমনিতেই রেজাল্ট এর ট্যানশনে খুব ভয় হচ্ছে। (মিতু)
মিতু আমার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কে*টে চলে গেলো..
– আর আমি বিছানায় বসে বসে রেজাল্ট এর ট্যানশন করছি, তার থেকে বেশি ট্যানশন করছি মিতুকে নিয়ে, রেজাল্ট এর ট্যানশনে মেয়েটাতো পুরাই শেষ।
,
দুই ঘন্টা পর…
-মিতু একটা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আমার রুমে ঢুকলো,,
নে ধর মিষ্টি খা বলেই মিতু তিন চারটা মিষ্টি আমার মুখে ঢুকিয়ে দিলো।
মুখ ভুর্তি মিষ্টির জন্য না পারছি খেতে না পারছি কিছু বলতে,
আর এদিকে মিতু হেসেই যাচ্ছে।
মনে মনে, এরকম হাসি খুসিতেই তোকে সারাজীবন দেখতে চাই।
– সবগুলা মিষ্টি খাবি, নাহলে মুখে আরো ঢুকিয়ে দিবো, (মিতু)
কষ্ট করে সব মিষ্টি খেলাম,,
— আরে কিসের মিষ্টি আগে বলবিতো? (আমি)
– আমি পরিক্ষায় পাশ করেছি, (মিতু)
— সত্যি, (আমি)
– হুম.. আর তুই আমার থেকে বেশি পেয়েছিস, (মিতু)
এই বলে খুব শক্ত করে মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরলো,,
আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা,
চোখ দিয়ে কয়েক ফটাঁ জল গড়িয়ে পড়লো,,
— ওই পা*গল তুই কাদছিষ কেন রে? (মিতু)
– কেনো কাদছি তুই সেটা বুজবিনা, (আমি)
— বুঝিয়ে দেনা তাহলেই বুঝে যাবো, (মিতু)
– সময় হলে ঠিকি বুঝবি, (আমি)
-আচ্ছা যা রেডি হয়ে নে, আমিও রেডি হতে যাচ্ছি, আজ দুজন মিলে ঘুড়তে যাবো। (মিতু)
দুজনেই রেডি হতে চলে গেলাম,,
.
-আমি একটা নীল পান্জাবী পড়ে বাম হাতে ঘড়ি পড়ছি,
ঠিক এসময়ে মিতু আমার রুমে ঢুকলো,
মিতুর দিকে তাকিয়ে আমি বোকা বনে চলে গেলাম,,
-আমার দেখা জীবনের প্রথম আজকে মিতু শড়ী পড়েছে, তাও আবার নীল শাড়ি,
চোখে কাজল, ঠোটে হালকা করে লিপিস্টিক, দুই হাত ভর্তি নীল চুড়ি, একদম পরীর মতো লাগছে।
মিতু আমাকে চিমঠি কা*টায় বাস্তবে ফিরে এলাম,,
– কিরে কি হলো তোর? (মিতু)
— কই কিছু নাতো। (আমি)
– তাহলে এখন ঘুড়তে যাবি না দাড়িয়ে থাকবি, (মিতু)
— হুম চল।(আমি)
রিক্সা করে আমি আর মিতু একটা নদীর পারে এসে বসলাম।
সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছি, আর এসময় হটাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হলো,,
মনের ভেতর এক অজানা অনুভূতি তৈরি হচ্ছে মিতুকে নিয়ে, খুব ইচ্ছে করছে এই বৃষ্টিতে মিতুর হাত ধরে কিছুটা পথ হাটার।।
মিতুর কথায় ভাবনার ছেদ ঘটলো,,
– চল বাসায় চলে যাই, নাহলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। (মিতু)
— হুম চল। (আমি)
.
-কয়েকদিন পর মিতু আর আমি দুজনে একই কলেজে ভর্তি হলাম,,
এক সাথে কলেজ যাওয়া আসা, কচিং যাওয়া, মিতুর কোনো কিছু সমস্যা হলে আমার কাছে এসে বুঝিয়ে নিতো, এভাবে ভালোই চলছে আমাদের দিন।
-কিন্তু হটাৎ করে মিতু কেনো যানি বদলে যাচ্ছে,
ঠিক মতো কথা বলে না, কিছু বললে এড়িয়ে যায়, একা একা কলেজ চলে যায়।
-নাহ এভাবে চলতে থাকলে মিতুকে আমার জীবন থেকে হাড়িয়ে ফেলবো।
যত দ্রুত সম্ভব মিতুকে আমার ভালোবাসার কথা বলতেই হবে।
-তাই আজকে একটু তারাতারি করেই কলেজে চলে এলাম,,
কলেজে এসেই রনি, মেহেদি, সাগর, অমিত, মহসিন, ইমরান আরো কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা,,
– কিরে তুই আজকে এতো তারাতারি কলেজে এলি যে, (রনি)
— একটু কাজ আছে তাই এলাম, (আমি)
পাশ থেকে অমিত বলে উঠলো,,
– কিরে মামা কিসের কাজ, নিশ্চয় মেয়ে পটানোর ধান্দা, (অমিত)
সবাই একসাথে হেসে উঠলো,,
-আমি তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে মিতুর ব্যাপারে সবকিছু খুলে বললাম,
আর মিতুর কথা বলতেই সবাই কেমন ভাবে যেনো আমার দিকে তাকালো,
-মেহেদি এসে আমার হাত ধরে কলেজের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে, আর সবাই আমার পিছন পিছন যাচ্ছে,,
– কিরে ওদিক কেনো নিয়ে যাচ্ছিস, (আমি)
— আগে চল, গেলেই বুঝতে
পারবি, (মেহেদি)
-কলেজের পিছনে গিয়েই খুব বড় একটা ধাক্কা খেলাম,,
যেনো আকাশটাই ভেঙ্গে পড়ছে
আমার মাথার উপর,
-ভাবতে লাগলাম আদৌ কি… অনেকেই অভিযোগ করেন যে পরের পর্ব খোজে পাচ্ছেন না।
না পাওয়ার কারন হচ্ছে আপনি পেইজে ফলো করেন নাই তাই আমি পোস্ট করার পরেও আপনারা পান না,,আপনাদের সামনে পরে না,,,তাই আমি আবারো বলছি পরের পর্ব গুলো পোস্ট করার সাথে সাথে পেতে
চলবে…..
গল্পঃ #লাল_বেনারসি
সুচনা পর্ব