দিনাজপুরের নবাবগঞ্জেও বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল
নবাবগঞ্জ,(দিনাজপুর) থেকে এম সাজেদুল ইসলাম(সাগর) ; সারা দেশে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবিতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের দাউদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থী,অভিভাবক, সর্বস্থরের জনতা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর হাইস্কুল মাঠে দলে দলে সমবেত হতে থাকেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সর্বস্থরের জনতা।
এরপর বিকেল ৫টায় বৃষ্টিতে ভিজেই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দাউদপুর ডিগ্রী কলেজের শহিদ মিনারে এসে সড়ক বেরিগেট দিয়ে ১ঘন্টা ব্যাপী অবরোধ করেন পরে আবার হাইস্কুল মাঠে এসে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। সারা দেশে ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবি আদায়ে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন তারা।
“তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইয়ের জীবন ফিরিয়ে দাও”,‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছ’,আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না,পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না,ভুয়া ভুয়া এসব স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে অনেক অভিভাবকরাও আসেন, তাঁরাও সেখানে একসাথে স্লোগান দিতে থাকেন। কেউ কেউ ছাতা আনলেও বেশিরভাগ আন্দোলনকারীরা বৃষ্টিতে ভিজেই বিক্ষোভ করেন। অনেকে মাথায় লাল ফিতা বেঁধেছেন। পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি করে মারছে। অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের আটক করা হচ্ছে। আমাদের ভাই-বোনদের টর্চার করছে, হত্যা করছে। তাই আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা ভয় করিনা কত গুলি আছে, চালান আমাদের বুকে। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই আন্দোলন করছি, আমার ভাইদের হত্যার বিচার চাই। হত্যাকারীর বিচারসহ দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না।
অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান , আমরা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের কথা বলেতেই পারে। পুলিশ তাদের ‘গুলি করে মারছে কেন? কি দোষ করেছে তারা? এ কেমন রাষ্ট্র অধিকারের কথা বলা যাবে না। সন্তানদের পাশে দাড়াতে এবং তাদের দাবি আদায়ে আমরাও তাদেও পাশে আছি। আমারা শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার চাই।