শুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে ৬টি বিষয়ে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী বরাবর আবেদন

ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে ৬টি বিষয়ে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী বরাবর আবেদন

৪১ Views

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে ৬টি বিষয়ে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী বরাবর আবেদন। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে চলমান ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এর অনুকূলে জরুরী ভিত্তিতে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় বরাবর আবেদন করেন ফুলবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটি দিনাজপুরের সর্বপ্রথম কলেজ। ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটি ১৯৬৩ সালে স্থাপিত হয়। দিনাজপুর জেলার প্রাণ কেন্দ্র অবস্থিত ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ। ১৯৬০ এর দশকে এসে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এখানে ছাত্রছাত্রী চাপ বৃদ্ধি হতে থাকে। অপর দিকে নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ী, পাবর্তীপুর ও চিরিরবন্দর থেকে এসে পড়াশোনা করার মত পরিবেশ ও আর্থিক সংগতি অধিকাংশ অভিভাবকের ছিল না। যে কারণে এসএসসি পাশ করার পরেই কলেজের প্রচুর শিক্ষা লাভে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য নুরুল হুদা চৌধুরী শিক্ষার্কে সার্বজনীন করার লক্ষে থানা পর্যায়ে ১৯৬৩ সালে ফুলবাড়ী কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলে গভর্নিং বডির প্রথম সভাপতি ছিলেন তদানিন্তন এসডিও মরহুম কাজী আজিজুল ইসলাম। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন এম আব্দুল গফুর, তারপর আব্দুল আজিজ। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৮০ভাগ জমি দান করেছিলেন শফিউদ্দীন মন্ডল, লুৎফর রহমন চৌধুরী ও তছির উদ্দীন মন্ডল স্বেচ্ছায় তারা কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন। ১৯৬৬ সালে ড. মোঃ আব্দুল বারী রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালীন নুরুল হুদা চৌধুরীর বিশেষ অনুরোধে ফুলবাড়ী কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নিত করেন। যা বর্তমান চালু রয়েছে।
মাননীয় উপাচার্য, ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ ফুলবাড়ীতে সফরে এসে ফুলবাড়ী কলেজটিকে সরকারি কলেজ হিসাবে ঘোষনা দেন।
২০১৩খ্রি: সাল হতে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটিতে ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। (১) বাংলা, (২) ইংরেজি, (৩) গণিত, (৪) রসায়ন, (৫) রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও (৬) দর্শন। যাহার ফলশ্রতিতে ২০২৪খ্রি: সাল পর্যুন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে।
দিনাজপুর জেলা একমাত্র দিনাজপুর সরকারি কলেজে মার্স্টাস কোর্স চালু ব্যতিত আর কোন কলেজে মার্স্টাস কোর্স চালু না থাকার কারণে এই অঞ্চলে বহু সংখ্যক গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন শিক্ষার্থী মার্স্টাস কোর্সে ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েছে। সকল দিক বিবেচনা করে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে জরুরী ভিত্তিতে মার্স্টাস কোর্স চালু করলে এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যাক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চিলের ৭টি উপজেলার এলাকাবাসির দাবী ২০২৪ইং সাল থেকে অতিসত্তর বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি কল্পে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যান সাধনে মার্স্টাস কোর্স চালু করার জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট কাজী এজেডএম লুৎফর রহমান চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য ১১- দিনাজপুর ৬ আসনের তিনিও এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অতিসত্তর মার্স্টাস কোর্স চালুকরার দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য রাজারামপুর, হাউস, মুন্সিপাড়ার মরহুম নুরুল হুদা চৌধুরীর পুত্র বিশিষ্ট্য সমাজসেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরীর গত ১০/০৭/২০২৪ইং তারিখে মার্স্টাস কোর্স চালু করণের জন্য অধ্যক্ষ, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মধ্যমে একটি আবেদন মাননীয় উপাচার্য বরাবর দিয়েছেন। আমি বিষয়টি অতি জরুরী হওয়ায় মাননীয় উপাচার্য বরাবর পাঠিয়ে দেই।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ জিল্লুর রহমান এর সাথে কথা বলতে তিনি জানান, মার্স্টাস কোর্স খোলা হলে এই এলাকার শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য রাজারামপুর, হাউস, মুন্সিপাড়ার মরহুম নুরুল হুদা চৌধুরীর পুত্র বিশিষ্ট্য সমাজসেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী গত ০৭/০৭/২০২৪ইং তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর সকল দপ্তরে বিষয়টি সদয় অবগত করে পত্র দিয়েছেন।

জিটিসি কর্তৃক পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর অধীনে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকাবাসীর জন্য জিটিসি চ্যারিটি হোম এর সামজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির সন্মুখে অবস্থিত জিটিসি চ্যারিটি হোমে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে এই উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করেন জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী ট্রেস্ট এস এস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্ট খনি এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে জিটিসি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, জিটিসি চ্যারিটি হোমে ০১ জন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ৫ দিন খনি এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে খনি এলাকার প্রায় অর্ধশত রোগী এই চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছেন।

Share This

COMMENTS