নাটোরে তিনটি মামলায় বিএনপি নেতা দুলু বললেন দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে তিনটি মামলায় বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ আসামী দলীয় নেতা কর্মিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ বিচারক মোঃ মাইনুদ্দীন দুইটি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ আদালতের বিচারক মোঃ শামসুল আল্-আমীন একটি মামলায় খালাস প্রদান করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নলডাঙ্গা থানায় ২০০৭ সালে ৮ এপ্রিল বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২জন কে আসামি করে একটি চঁাদাবাজি মামলা দায়ের করেন রামশাকাজিপুর এলাকার জাহেরুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজা। অপর মামলাটি ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী রাতে রামশাকাজিপুর এলাকার সফুরা খাতুনের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় বাড়ির মালিক সফুরা খাতুন বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় ২৭ এপ্রিল ২৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এমামলায় বাদি পক্ষ আসামীদেরকে সনাক্ত করতে না পারায় ও রাষ্ট্র পক্ষ স্বাক্ষী প্রমান করতে না পারায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক আসামী বিএনপি নেতা এ্যডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দুটি মামলার আসামী ৪৭জনকে খালাস দিয়েছেন বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি রুহুল আমিন তালুকদার টগর।
আরেকটি মামলায় ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২টার দিকে আমতলী বাজারে সুধির চন্দ্র সাহার মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে ও চাঁদাদাবি করে। এঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ জুলাই নলডাঙ্গা থানায় সুধির চন্দ্র সাহা বাদি হয়ে বিএনপি নেতা এ্যডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এমামলাতেও বাদি পক্ষ আসামীদেরকে সনাক্ত করতে না পারা ও রাষ্ট্র পক্ষ স্বাক্ষী প্রমান করতে না পারায় যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক আসামী বিএনপি নেতা এ্যডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ মামলার আসামী ২২জনকে খালাস দিয়েছেন বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি রুহুল আমিন তালুকদার টগর।
আদালত থেকে বের হয়ে বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর কৃতিত্ব ঠাত্রদের।