
কলঙ্কের_প্রতিশোধ ছোট গল্প

ছেঁড়া ব্লা* ‘উজে বু’কের কিছু অংশ ঢেকে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালাম।একটু আগে আমাকে গনধ* ‘র্ষন করা হয়েছে “
ওরা আমায় মে* ‘রে ফেললো না কেন ঠিক বুঝলাম না।দু-হাতে কোনোরকমে বু’ক ঢেকে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালাম।কি করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।এমন সময় কেউ একজন আমার দিকে টর্চের আলো ফেললো।আমি ভয়ে,আ/ত/ঙ্কে কুঁকড়ে উঠলাম।বাবার কন্ঠ শুনতে পেলাম।বাবা তখন বাজার থেকে ফিরছিলেন।আমাকে এই অবস্থায় দেখে নিজের শার্টে খুলে আমায় জড়িয়ে বাড়িয়ে নিয়ে এলো।
মা আমার শরীরের কে’টে যাওয়ায় যায়গাগুলিতে ডেটল লাগাচ্ছেন।বাবা মাথায় হাত রেখে থম মে’রে মেঝেতে বসে পড়লো।সমাজে আমি এখন কল/ঙ্কি/নী।কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আসলো টিউশন থেকে।এই অবস্থা দেখে ভাইয়ার বুঝতে বাকি রইলো না আমার সাথে কি ঘটেছে।ভাইয়া খুবই শান্ত স্বভাবের একটা ছেলে।কারো সাথে চোখ রা/ঙ্গি/য়ে কথা পর্যন্ত বলে না।ভাইয়া আমার ঠোঁ’টে লেগে থাকা র’ক্ত মুছে দিলো।আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
বাবা ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো ” পুলিশের কাছে চল।ওদের ফাঁ* ‘সি না দেখে আমার শান্তি নেই “
ভাইয়া বললো ” এসব পুলিশি ঝামেলা করলে লোকজন জানাজানি হবে।কি দরকার শুধু শুধু ঝামেলা বাড়িয়ে! “
ভাইয়ার কথায় আমি হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলাম।ভাইয়া এখনো চুপ করে থাকবে?বাবা কটমট চাহনিতে বললেন ” বোনের এই অবস্থা দেখেও তোর ভয় পাওয়া স্বভাব গেলো না?চুপ করে থাকবি?কুলা’ঙ্গার কোথাকার “
সে রাতে মা আমার সাথে শুয়েছে।ভোররাতে দরজার টকটক আওয়াজ পেলাম। বাইরে গিয়ে দরজা খুলতেই ভাইয়ার র’ক্তে মাখামাখি শার্ট নজরে এলো।ভাইয়া আমার গা’লে আদর করে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।আমি র’ক্তের বিষয়টা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
পরেরদিন সকালে বাবা আমাকে ডেকে টিভির সামনে নিয়ে গেলেন।টিভিতে নিউজ হচ্ছে
” তিনটা ছেলেকে নদীর ধারে পাওয়া গেছে।তাদের কারোর শরীরে চা’মড়া নেই।চাম’ড়া ধারালো ছু’রি দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।শুধু তাই নয়,বেঁচে থাকা অবস্থায় কেউ তাদের পুরু* ‘ষা’ঙ্গ শরীর থেকে কে’টে আলাদা করেছে।ডাক্তাররা জানিয়েছেন প্রথমে তাদের পু’রু* ‘ষা’ঙ্গ কে’টে ফেলা হয়েছে।এরপর শরীর থেকে চাম’ড়া তুলে ফেলা হয়েছে “
এরকম ভাই সবার ঘরে ঘরে থাকা দরকার, আমি ঠিক বলছি কিনা আপনারাই বলুন???
লেখা : সংগৃহিত