বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

Views

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম(৪০)কে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বুধবার(১২মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মৃত লোয়াই প্রামাণিকের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

মানববন্ধনে সাদিয়া পারভীন,ফাতেমা খাতুন,উম্মে হাবিবা,মোহনা পারভীনসহ শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।বক্তব্যের সময় শিক্ষার্থরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দ্বিপেন্দ্রনাথ দে বলেন, আমাদের সহকর্মী আমিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত।তিনি বিনয়ী,কর্মদক্ষ এবং খুবই ভালো মানুষ ছিলেন।বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।আমরা মানববন্ধনের মধ্যদিয়ে দাবি করছি যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আছে তদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন,এই হত্যাকান্ডে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।যারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে আমার প্রশাসনের নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি তাদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।সঠিক বিচরা হলে আর কেউ এই ধরণের কাজ করার সাহস পাবেন।

প্রসঙ্গত,পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১০মার্চ রাত ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চকপাট্টা উত্তরপাড়ায় ক্ষতুপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মহেদি হাসান ইমু,পাবনা মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার আবু সাইদ ওরফে চাঁদের ছেলে সিএনজি চালক শিবলি সাদিক মিঠুন এবং আলতাবের ছেলে সালেকসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে আমিরুল ইসলামকে হত্যা করে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সাইদুর রহমান জানান,হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ইমু ও মিঠুন দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Share This

COMMENTS