
বাঘায় যৌতুক দাবি করায় মহিউদ্দিনকে কোটের সমন

১৫৩ Views
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার জোতরঘু গ্রামের মহিউদ্দিন সরকার যৌতুক দাবি করায় তার স্ত্রী কাবেরী খাতুন কোটে অভিযোগ করলে এ সমন জারি করে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের তদন্ত সম্পুর্ণ হয়েছে।
কাবেরী খাতুন তার অভিযোগে জানায়, মহিউদ্দিন সরকার পিতা কামাল সরকার সাং- জোতরঘু থানা বাঘা জেলা রাজশাহীর সঙ্গে আমি কাবেরী খাতুন পিতা সুলতান পাং, সাং-হামিদকুড়া থানা-বাঘা জেলা-রাজশাহীর সহিত সামাজিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কবুলে মোহরানা একলক্ষ এক টাকায় বিবাহ সু-সম্পর্ন হয়। স্বামী স্ত্রী হিসাবে ঘর সংসার করা কালে আমার গর্ভে ২টা কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। তাহার নাম ১.মাহিমা সরকার (১৩) ২.রাফিয়া সরকার (১১)। আসামীর বাড়িতে ঘর সংসার করাকালে যৌতুক লোভী আসামী বাদীকে নানা ভাবে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করিতে থাকে। বাদীর সুখের কথা চিন্তা করিয়া বাদীর পিতা আসামীকে ৭ লক্ষ টাকা, স্বর্নের চেইন ৮ আনা এবং ৩ আনার একটি আংটি সহ অন্যান্য ঘর সাজানোর ফার্নিচার দিয়েছেন। বাদিনী অনেক কষ্ট সহ্য করিয়া সংসার করিতেছেন। তার পরও যৌতুক লোভী আসামী ৮-১০-২০২৪ইং তারিখে বাদিকে বলে, আমার জরুরী টাকার প্রয়োজন তুই এখনই ৩ লক্ষ টাকা তোর পিতার বাড়ী থেকে নিয়ে আয় তখন বাদী বলে আমার পিতা গরীব মানুষ টাকা দিতে পারিবেনা বলিলে বাদীকে বাড়ী হইতে এক কাপড়ে তাড়াইয়া দেয়। বাদী নিরুপাই হইয়া পিতার বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহন করিয়া অদ্যবধি পিতার বাড়ীতে অবস্থান করিতেছেন। এবং পরবর্তীতে ১৮-১০-২০২৪ ইং তারিখে বাদীর পিতা আসামীর সহিত যোগাযোগ করিয়া বাদীর পিতার বাড়ীতে ডাকিলে আসামী আসে এবং আলাপ আলোচনা শেষে স্বাক্ষী সহ সকলের সামনে বলে ৩ লক্ষ টাকা না দিলে আপনার মেয়েকে নিয়ে যাব না। বাদীর পিতা ও স্বাক্ষীগন ১. মেহেদী হাসান – পিতা সুলতান প্রাং,২. আওয়াল পিতা জেটু সরদার, ৩. সুলতান প্রাং পিতা হাজী জব্বার প্রাং অনুরোদ করিলে আসামী কোন কথা না শুনিয়া বাদীকে পিতার বাড়ীতে রাখিয়া বাড়ী চলে যায়।
উপরোক্ত কাজ করিয়া আসামী ২০১৮ ইং সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন। অভিযোগটি সরাসরি আমলে গ্রহন করিয়া আসামীর প্রতি গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশও চেয়েছেন বাদী।
এ বিষয়ে আসামী মহিউদ্দিন সরকার বলেন, আমার স্ত্রী কাবেরী খাতুনকে তালাক দিয়েছি, আমি ৪টা বিয়ে করতে পারি, কাহারো কিছু যায় আসে।