বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে ধর্ণা

শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে ধর্ণা

৭১ Views

আঃ মান্নান শার্শা (যশোর) থেকে : শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে অনিয়ম দূর্নীতি ও নিয়ম বর্হিভুত ভাবে গত ব্যোরো ধান ক্রয়ের দৈনিক গ্রামের কাগজসহ একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের নিকট ধর্ণা দিচ্ছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান। উক্ত কর্মকর্তা শার্শায় যোগদান করার পর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার জন্য ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শার্শা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী পাওয়ার দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলেন কিভাবে পদস্ত কর্মকর্তাদের ঠিক রাখতে হয় তা আমার জানা আছে। আমার বিরুদ্ধে যতই লেখালেখি করেন কোন কাজ হবে না। তাছাড়া গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান খুলনা বিভাগের কামোট গ্র“পের সদস্য নামে পরিচিত। দূর্নীতি বাজ এ কর্মকর্তা ২০২৪ সালের মে-আগষ্টের মধ্যে ব্যোরো ধান সংগ্রহ করার সময় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় শার্শার ৬শত কার্ডধারী কৃষকের নিকট থেকে সরাসরি ধান খরিদ দেখান হয়। প্রতি জন কৃষকের ৩ মেট্রিক টন ধান খরিদ দেখান হয়। অথচ ঐ কৃষক জানেই না যে তার নামে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় বা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা, ধান খরিদ করেছে। একাধিক অভিযোগে প্রকাশ খাদ্য গুদামের দারোয়ান জাইবুল ও ইকবল গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমানের নির্দেশে শার্শার ৭টি ইউনিয়নে ৬শত চাষির নামের বিপরীতে ৩ মেট্রেক টনের চালান তৈরী করে শার্শা কৃষি ব্যাংক থেকে ভুয়া স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন করে। কৃষকদের নাম ও স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গুদাম কর্মকর্তা ১৮ শত মেট্রেক টন ব্যোরোধান খরিদ দেখিয়ে ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। শার্শা কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার বলেন, আমরা সরকারী ভাবে ধান খরিদ করার বিল পাওয়ার পর কৃষকদের টাকা পরিশোধ করেছি এবং যারা টাকা বা অফিসে লেনদেন করেছে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে তা প্রমান করা যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি নাজিব হাসান এক স্বাক্ষাতকারে জানান জরুরী ভিত্তিতে চাষিদের তালিকা অনুযায়ী তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Share This