রাজশাহীতে গুলিবর্ষণ নিহত-১
কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী অফিস:
রাজশাহীতে গভীর রাতে এক যুবদল নেতার বাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই যুবদল নেতার বাবা মো. আলাউদ্দিন (৬০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তিনি মারা যান বলে জানান মেডিকেল অফিসার ও মুখপাত্র ডা. সংকর কে বিশ্বাস। তিনি বলেন, গুলিটি তার কমরের ভিতরে থেকে যায়। সেটি বের করার জন্য দুপুরে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় সেখানেই তিনি মারা যান। গুলিতে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
নিহতের আলাউদ্দিনের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল গ্রামে। তার ছেলে সালাহউদ্দিন মিন্টু নওহাটা পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
নিহতের ছেলে সালাহউদ্দিন মিন্টু জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় দরজা ভেদ করে একটি গুলি বাড়িতে ঢোকে। এতে আহত হন মিন্টুর বাবা আলাউদ্দিন। গুলিটি তার কোমরে লেগেছিল। রাতেই তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মিন্টু আরও জানান, তাদের এলাকায় দু’পক্ষের টাকা-পয়সা নিয়ে একটা বিরোধ ছিল। এর মীমাংসার জন্য রাতে উভয়পক্ষ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একপক্ষের একটি ছেলে তার ছোট ভাই। এ জন্য তিনিও গিয়েছিলেন। থানায় মীমাংসাও হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফেরেন। এর আধাঘণ্টা পরই তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
তার ভাইয়ের সঙ্গে ভুগরইল শিহাবের মোড় এলাকার কয়েকজনের বিরোধ চলছিল বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন মিন্টু বলেন, ১০-১২ জন তাদের বাড়ির সামনে এসে গুলিবর্ষণ করেছে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, দুটিপক্ষ থানায় একটি আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিল। তারপর নাকি একপক্ষ গিয়ে মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। ঘটনাস্থলটা পড়েছে শাহমখদুম থানা এলাকায়। শাহমখদুম থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছেন।
এব্যাপারে শাহমখদুম থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে আলাউদ্দিন মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। তবে কারা মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে তাদের সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।