ঘোড়াঘাটে হরেক রকমের পিঠা পুলির দোকান
আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হাট বাজারে গরে উঠেছে বিভিন্ন শীতের পিঠা পুলির দোকান বিক্রি জমে উঠেছে। ভোজন প্রেমিক দের বাড়িতে আগের মত করে পিঠা পুলির আয়োজন না থাকায় গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন হাঠ বাজারে ঐতিহ্যবাহী হরের রকমের বাহারি শীতের পিঠা বেচাকেনা। মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, এই ব্যবসায় পুঁজি লাগে কম। গুর,শরিসা বাটা,বাদাম বাটা, শুটকি ধনিতাপাতা বিভিন্ন রকম ডাল ও চালের গুড়া দিয়ে শুরু করা হয় এই ব্যবসা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দেখা গেছে শীত মৌসুমে জমজমাট ভাঁপা, চিতই, ডিম পিঠা,মাসকালাই পিঠা, দুধপিঠা, পাটিসাপ্টা কুশলি, ঝাল পিঠা, হরেক রকমের পিঠার ব্যবসা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা নিজেরা খাচ্ছে এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা কেউ টুলে বসে কেইবা দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছে। চিতই পিঠার সাথে ধনিয়াপাতা, কাঁচামরিচ, বাদাম, শরিষা বাটা দেওয়া হচ্ছে। এক একটি পিঠার দাম ১০-২০ টাকা, ডিম পিঠা ৩০-৪০ টাকা নিয়ে থাকে। পিঠা তৈরির বেশি ভাগ দোকানের ব্যবসায়ী মহিলার পাশাপাশি পুরুষেরাও রয়েছেন। পিঠা বিক্রেতা আনোয়ার জানান,শীত এলেই পিঠা বিক্রি শুরু করি। শীতের প্রকোপ যত বেশী থাকে পিঠা বিক্রিয় তত বেড়েরে যায়। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভির রাত পর্য়ন্ত পিঠা বিক্রি করে থাকি। এলাকার ক্রেতা সাধারণ জানান, ভাপা চিতই পিঠা খাওয়ার মজা অন্যরকম। গরম গরম ভাবা আর চিতই দেখলে লোভ সামলানো দায়। শাহা আলম জানান, কর্মব্যস্ততার কারণে বাসায় পিঠা তৈরি করে খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে ক্রয় করে খেতে হয়। তবে পিঠা যারা তৈরি করেন তারা যেন ধূলাবালি থেকে রক্ষা করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পিঠা তৈরি করেন। প্রতিদিন অন্তত ২’শ থেকে ৩,শ পিস পিঠা বিক্রি করেন একজন পিঠা বিক্রেতা।