কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র আংশিক আহŸায়ক কমিটি ঘোষণা
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন পরে হলেও অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহŸায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহŸায়ক কমিটিতে আহŸায়ক হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তফা), ১নং যুগ্ম আহŸায়ক হিসেবে শফিকুল ইসলাম বেবু, ২নং যুগ্ম আহŸায়ক হিসেবে হাসিবুর রহমান হাসিব, সদস্য সচিব হিসেবে আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ ও সদস্য হিসেবে তাসভীর উল ইসলাম এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র আহŸায়ক কমিটির আহŸায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা কুড়িগ্রাম জেলার একজন মেধাবী, দক্ষ, পরিচ্ছন্ন এবং কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ। তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত সবার কাছে তিনি সমানভাবে সমাদৃত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর আস্থাভাজন হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিত। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় দীর্ঘ পথপরিক্রমায়। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র কমিটিতে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একই পদে তিনি পূর্ণনিয়োগ পান এবং দায়িত্ব পালনে দক্ষতা প্রদর্শন করেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে “ওয়ান ইলেভেন” নামে পরিচিত, জরুরি অবস্থার মধ্যে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক নেতাদের উপর দমনপীড়ন চালানো হয়, এবং অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে, তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটিতে ১নং যুগ্ম আহŸায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণহানি এবং হরতালের মাধ্যমে দিনটি শেষ হয়। এ সময় বিএনপি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হন। ৩১ অক্টোবর মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ জনাব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ দিন কারাবাসের পর ২১ নভেম্বর তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এবং ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপি’র একজন সাংগঠনিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে তিনি কুড়িগ্রামের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাকে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র আহŸায়ক কমিটির আহŸায়ক হিসেবে মনোনীত করায় বিভিন্ন মহল অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র আংশিক আহŸায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ এর নাম ঘোষণা করায় বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে দলে সম্পৃক্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে এবং জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করেন। কুড়িগ্রাম জেলার তৃনমুল পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মীদের কাছে অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি এবং তার কর্ম দক্ষতা, সততা, কর্মীদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যেয়ে তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।