শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দশমিনায় সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ

দশমিনায় সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ

Views

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের দিগন্ত আবাসিক এলাকার দিগন্ত সড়কটির দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গা,খানাখন্দ তথা দীর্যদিন যাবত সংস্কার না করায় বেহাল দশার পাশাপাশি সড়কটি যেন মরন ফাঁেদ পরিনত হয়েছে। ফলে সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এলাকাবাসী দিগন্ত সড়কে ধানের বীজ রোপন করে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করার পরও সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দিগন্ত সড়ক রাস্তাটি মাত্র দেড় কিলোমিটার। ১৯৯৮ সালে এই সড়কটিতে ইট বিছানো হয়। রাস্তাটি দীর্ঘ ৭-৮ বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে পাকা করা হয়। রাস্তাটি ৩-৪ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নালা,খানাখন্দ হয়ে লোকজন ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কটিতে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। অথচ সড়টির এখন বেহাল দশা। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এডিপির অর্থায়নে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে রাস্তাটি নির্মানের জন্য সাড়ে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়কটিতে নামফলক উন্মোচন করলেও রাস্তাটি নির্মানের কোন আলামত নেই। তৎকালীন সময়ে জেলা পরিষদের এডিপি কর্তৃক বরাদ্দের টাকা কোন কাজে ব্যয় হয়েছে তার প্রমান মেলেনি। এলাকার লোকজন, যানবাহন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলে দূর্ভোগ লাগবে বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটিতে কোন ইট নেই। বিভিন্ন স্থানে হাটু সমান কাঁদা হওয়ায় এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন ধানের বীজ রোপণ করে রাস্তাটি দ্রæত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবি জানানোর পর কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়েনি। সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন ভুট্টো জেলা পরিষদ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে আসে। ওই টাকা দিয়ে ঠিকাদার কোথায় কিভাবে কাজ করছে তার কোন প্রমান নেই। স্থানীয় ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দাবি সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন ভুট্রো নামে বেনামে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ নিয়ে আসলেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া নেই বললেই চলে। এই রাস্তাটিতে বার বার বরাদ্দ এনে জেলা পরিষদ সদস্য কাজ না করেই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজস করে লোক দেখানো কাজ করেছে। বিগত ১৬ বছরেও এই সড়কটির কোন সংস্কার বা উন্নয়ন হয়নি।

Share This

COMMENTS