তাহেরপুরে পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্থ
নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
বর্ষা মৌসুম আশ্বিন মাসে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগমারা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফলতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও লাগামহীন দুর্নীতির কারণে রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ ও ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসি ওলাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কারণে যে টুকু বিদ্যুৎ থাকে তাতে লো-ভোল্টেজ হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের আশায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার যেন শেষ হচ্ছেনা। কখন আসবে সেই কাঙ্খিত বিদ্যুৎ। দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২/১৪ ঘন্টার বেশী এ অঞ্চলের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা। পূর্বের থেকে কোন প্রকার সর্তকি করণ নোটিশ ও মাইকিং ছাড়াই একটানা বন্ধ রাখেন বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুতের অভাবে ঘরে-বাইরে, অফিস,স্কুল- কলেজ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র মনে হয় যেন অন্ধকারে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, চরম দুর্দশার মধ্যে নাটোর পল্লী বিদ্যুতের কর্তাবাবুরা বিপুল জনগোষ্টিকে অন্ধকারে রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় দেখিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বাহুবা কুড়িয়ে পুরুস্কার হাতিয়ে নিতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই লোডশেডিং করে থাকে। তবে তীব্র লোডশোডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমলেও বিলের বোঝা গ্রহকদেরকে না কমে বরং দিন দিন বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে তারা মিনিমাম চার্জ লেখা নাই, ডিমান্ড চাজলেখা নার্ই, পাওয়ার ফ্যাক্টর চাজ ২৫ টার্কা, ট্রান্সফারমার ভাড়া ১০ টাকা,ভ্যাট ১৫ টাকা, বিলম্ব মাসুল নীট বিলের ৫% হারে প্রতিটি বিলে কড়ায় গন্ডায় টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে,তাহেরপুর বাসির আভিযোগ বর্তমানের নতুন ডিজি.এম বাগমারায় যোদানের পর থেকে একাধিকবার লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। দিনে কয়েক ঘন্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ, সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে কয়েকবার লোডশেডিং’র পর শেষবারের মত একটানা কয়েক ঘন্টা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিদ্যুত দেয়া নেয়ার খেলা। আর এ কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও হচ্ছে ব্যাহত। সেই সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং তাহেরপুরবাসীকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। উল্লেখ্য,নাটোর পল্লী বিদ্যুতের অধিনে বাগমারা উপজেলায় বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম ১৯৯২ সালে শুরু হলেও জোনাল অফিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালের দিকে। এদিকে নতুন ডিজি এম তার মনোনিত তাহেরপুর কেন্দ্রের ইনচার্জের মাধ্যমে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভায় ব্যাপক লোডশেডিং চলায় বলে শত শত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ছোট বড় শিল্প-কারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বানিজসহ অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যূতের এ ভেলকিবাজিতে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দূর্নীতির বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন।