
সাঁথিয়ায় বাউল শিল্পিকে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দত্তপাড়া তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত ঈমান শেখের ছেলে বাউল শিল্পি আব্দুল জব্বার(৬০)কে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার বাউল শিল্পিবৃন্দ ও আহত আব্দুল জব্বারের পরিবারের সদদস্যরা। এ সময় তারা আব্দুল জব্বারকে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক সংগীত শিল্পি পলাশ সরকারকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি করেন। সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে মানববন্ধনে অংগ্রহনকারীদের আশ^স্ত করলে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
শনিবার(৮মার্চ)দুপুরে সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কে সাঁথিয়া থানার সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংগ্রহনকারীরা বলেন,ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিল্পি পলাশ সরকার নিজের ঘর নিজেই ভাঙচুর করে এবং লুটপাটের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তারা জানান,গত ২মার্চ সন্ধ্যার আগে বাউল শিল্পি আব্দুল জব্বার উপজেলার ধোপাদহ বাজার থেকে ইফতারি কিনে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামের ছেলে পলাশ সরকার,মৃত জিন্দার আলীর ছেলে আব্দুস সালাম ও জাহিদুল ইসলাম তাকে লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় জব্বারের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সংগীত শিল্পি পলাশ সরকার বলেন,দীর্ঘদিন ধরে জব্বার গংদের সাথে জায়গাজমি নিয়ে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল।জব্বারের লোকজন আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং আমার বাবাকে তারা আঘাত করে। এছাড়া আমাকে আঘাত করতে আসলে আমি তখন আত্মরক্ষার্থে তাকে একটা আঘাত করি।
সাঁথিয়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ও বন্ধন থিয়েটারের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সেলিম এবং সাঁথিয়া শিল্প,সাহিত্য-সংস্কৃতি ও আবৃত্তি সংসদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমরা শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করি।এ ধরণের ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। একজন শিল্পি হয়ে আরেকজন শিল্পিকে এভাবে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হয়নি।আমার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সাইদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের মামলা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।