রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহীতে নগরীতে প্রাইভেট কার থেকে দুই বস্তা অস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীতে নগরীতে প্রাইভেট কার থেকে দুই বস্তা অস্ত্র উদ্ধার

৯৬ Views

রাজশাহী নগরীতে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা পরিচালনাকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিচক্ষনতায় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-১১১৪) থেকে দুই বস্তা দেশী অস্ত্র উদ্ধার করে আবারো চমক দেখিয়েছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে নগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকার রেলগেটে কারটি থামিয়ে তল্লাশীর সময় গাড়ীর পেছন থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় গাড়ী চালক নগরীর লক্ষীপুর চন্ডীপুর এলাকার হোসেন মিয়াকে আটক করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ওই কারের চালকসহ অস্ত্রগুলো বিজিবির কাছে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার মাধ্যমে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা।

এর আগে সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বপালনকালে ওই কার চালক সিগন্যাল অমান্যের চেষ্টা করে। তখন শিক্ষার্থীদের সন্দেহ তৈরি হলে কারটি তল্লাশী চালানো মাত্রই সিগন্যাল অমান্যের চেষ্টার প্রকৃত কারণ ধরা পড়ে। আর এ ঘটনার পর থেকেই নগরীর মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে নগরীর রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময় বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশী করছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় একটি প্রাইভোট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-১১১৪) থামিয়ে তল্লাশী করা হলে গাড়ীর পেছনে দুই বস্তা দেশী অস্ত্র পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ওই কারের চালকসহ অস্ত্রগুলো বিজিবির কাছে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার ঊদৃতি দিয়ে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বপালন শেখা শিশু শিক্ষার্থী এস এম মুনাব্বীরের মা ডিঙ্গডোবা ব্যাংক কলোনি এলাকার মাহাফুজা সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা থেকে নিরাপত্তার কাজও শুরু করেছেন। এটা এই দেশের জন্য কটোতা গর্বের তা সকলেই অনুধাবন করবে। আর এই শিক্ষা নিয়ে বিশ্বদরবারে তৈরি হচ্ছে ইতিহাস। শিক্ষার্থীরা একের পর এক উদহরণ সৃষ্টি করায় আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে পুলিশের কোন বিকল্প নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব পুলিশকে এমন জনবান্ধব তৈরি করে কাজে ফেরাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নগরীর হাতেম খা এলাকার রেজভী আহমেদ বলেন, সড়কে দিনরাত কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে বেশ কয়েক বার সড়কে তাদের মুখোমুখি হয়েছি। বাস্তবতা হচ্ছে ইতঃপূর্বে কিছু ব্যক্তির ট্রাফিক পুলিশের সকল নির্দেশনা না মানার বদ অভ্যাস থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছে সেই দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা কেউ করছেন না। দেখে যেন মনে হচ্ছে এটিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকৃত রুপ।

Share This