ঝালকাঠিতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের পলায়ন
রিপোর্ট : ইমাম বিমান : ঝালকাঠিতে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহর করে প্রায় পঞ্চাশার্ধ বয়সি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা যায়। জেলার সদর উপজেলাধীন কাঁচাবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অঞ্জন কুমার আশ্চার্য্য (৫০) মাধ্যমিক পড়ুয়া (SSC পরীক্ষার্থী ২০২৫)এক স্কুল ছাত্রী ( ছদ্দ নাম শিখা ১৫ ) কে অপহরন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ বিষয় অপহরিত ছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিন দুপুরে স্থানীয় এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। ১ঘন্টা প্রাইভেট পড়ে বিকেল ৩টায় বাসায় আসে। প্রতিদিনের মত গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেট পড়তে যায়। এবং প্রাইভেট শেষে বিকেল ৩টায় বাড়ীতে আসার কথা থাকলেও সাড়ে তিনটার সময়েও সে বাড়ীতে না আসায় আমি তাকে খুজতে বের হই। অনেক খুজাখুজির পর তাকে না পেয়ে আমার দেবর রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করে।
এ বিষয় ছাত্রীর চাচার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমরা আমাদের মেয়েকে খুজে না পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি ( যাহার নম্বর : ৯৮ ) সাধারণ ডায়রি দায়ের করার পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর থানা থেকে পুলিশ তদন্তে আসে। কাচাবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অঞ্জন কুমার আশ্চার্য্য (৫০) আমাদের মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাচাবালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অঞ্জনের পূর্বে একটি বিয়ে করে ছিলেন। তার চারিত্রিক সমস্যা থাকার কারনে ১ম স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। ৫০ বছর বয়সি একজন লোক কিভাবে একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী মেয়ে অপহরন করলো ? শুধু তাই নয় ঐ ছাত্রীকে অঞ্জন বিয়ে করেছে যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখতে পাওয়া যায়।
এ বিষয় স্থানীয়রা জানান, সরকার যেখানে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেখানে কিভাবে একজন স্কুল শিক্ষক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অঞ্জন সদর উপজেলাধীন বিরমহল গ্রামের কেষ্ট কুমার আশ্চার্য্যের ছেলে।