স্বামি দাবি করে বাঁশখালীতে তরুণীর অনশন নিয়ে ধুম্রজাল
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ আহমদ জানান, “ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে হাজীর হয়ে বিষয়টি অনুসন্ধান করি, কিন্তু উপস্থিত মেয়েটি স্থানীয় যুবক রিদুয়ানের সাথে বিয়ের কোন প্রমানপত্র দেখাতে পারেনি, তাছাড়া অভিযুক্ত ছেলেটি দেশেও থাকেনা, প্রবাসে থাকে অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকের সাথে যোগাযোগ হতে পারে, বন্ধুত্ব হতে পারে, বিভিন্ন কথাবার্তা হতে, কিন্তু এসবের ভিত্তিতেতো বিয়ে হয়েছে দাবী করা যায়না। একসাথে ছবির ব্যাপারে জানতে চাইলে মেম্বার সৈয়দ বলেন, ছবিতো যেকারো সাথে যেকোন অনুষ্ঠানে তোলা যায়, আবার এডিট করেও বানানো যায়, যুগল ছবি দিয়েতো আর বিয়ে হয়েছে দাবী করা যায়না।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আইরিন আক্তার নামে চট্টগ্রামে পোশাক শিল্পে কর্মরত স্বন্দ্বীপের একটি মেয়ে বাঁশখালীর প্রবাসী এক যুবককে স্বামি দাবী করে একটি অভিযোগ এনেছিল, অভিযোগের আলোকে বিয়ের কোন তথ্য প্রমান জমা দিতে না পারায় তাকে কোর্টের শরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযোগকারী যুবতী আইরিন আক্তারের মোবাইল নাম্বারে (——- ৭৮০) বেশ কবার কল করা হলে প্রথমে ২ বার রিসিভ করে পরে কথা বলবে জানালেও পরে আরো বেশ কবার কল করা হলে আর কল রিসিভ না করে কেটে দেন। ফলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত যুবক রিদুয়ানের প্রবাসে হোয়াট্স এ্যাপে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মেয়েটির সাথে অনলাইনে যাস্ট বন্ধু হিসাবে কয়েকবার কথা হয়েছে স্বিকার করলেও স্বামির দাবীতে তার বাড়িতে হাজীর হওয়া এবং এ ঘটনায় চট্টগ্রামের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কোন তথ্য প্রমান ছাড়া ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারিত হয়েছে অভিযোগ করে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, স্বার্থপর কিছু মহল সড়যন্ত্রমুলকভাবে আমার বিরোদ্ধে মেয়েটিকে লেলিয়ে দিয়ে আমার সামাজিক মান সম্মান ক্ষূন্ন করা এবং আমার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার হীন প্রচেস্টায় নেমেছে।
এদিকে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে অনেকে এ ঘটনাকে একটি ভিত্তিহীন মনগড়া ও সড়যন্ত্রমুলক অপপ্রচার বলে দাবী করেন।