বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে — মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী

হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে — মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরাঞ্চলের একমাত্র ফসল রক্ষার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যায় করা হচ্ছে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা, উদাসীনতা, সময় মতো বাঁধ নির্মাণ না করা এবং নানা অনিয়মের কারণে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন বাঁধ ভেঙ্গে কৃষকের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। হাওরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। দুর্নীতি আজ দেশের প্রতিটি সেক্টর গ্রাস করে নিচ্ছে। হাওরাঞ্চলে ফসল বিনষ্ট হওয়ায় এবং আগাম বন্যার কারণে আধা পাকা ধান কেটে ফেলায় কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে পবিত্র ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে গেছে। এই জন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং গাফিলতির সাথে জড়িত টিকাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানান।

নেত্রকোনার সিএফসি রেষ্টুরেন্টের হল রুমে ইফতার পূর্ব আয়োজিত ‘মানবিক কার্যক্রমে তরুণ আলেমদের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক তরুণ আলেম, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, মানবিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।

মাওলানা গাজী আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ইফতার পুর্ব আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব হামীদি, মাওলানা তরিকুল ইসলাম আল আদীব, মাওলানা আব্দুল হান্নান তুষার, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন, মাওলানা শাহ্ ইউনুস, মাওলানা আতাউল্লাহ্, মুফতি জুবায়ের হুসাইন, মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি ওমর ফারুক, হাফেজ ক্বারী আরিফ বিল্লাহ্, হাফেজ রেদোয়ান আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদউল্লাহ নাঈম, হাফেজ মাহ্মুদুল হাসান, হাফেজ রহুল আমীন, শফিকুল ইসলাম, হাফেজ সরোয়ার আহমদ, হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান ও মুফতী আব্দুল্লাহ্ প্রমুখ।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, মানবতার সেবায় তরুণ ও আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের দুঃসময়ে মানবতার সেবা ও দেশের উন্নয়নে তরুণদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এটা নবী করিম (সাঃ) শিক্ষা। মাওলানা হামিদী আরো বলেন, যুব সমাজকে কোরআনের প্রতিটি বিধি-বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করতে হবে। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণে আমাদেরকে কোরআন-সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরতে হবে। কোরআন-সুন্নাহ্র শাসন ব্যবস্থা চালু না থাকায় সারা বিশ্বে ক্রমেই অশান্তির আগুন জ্বলছে। নৈতিকতা বিবর্জিত সমাজ ব্যবস্থা আমাদের যুব সমাজের চরিত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফলে কোথাও সুখ-শান্তি নেই। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর বিধান কোরআন এবং মানবতার মুক্তিদূত বিশ্ব নবী হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আর্দষ ও সুন্নাহ্ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই সারা বিশে^ অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের যেখানে যত টুকু সুখ শান্তি আছে তা কেবল ইসলামের জন্যেই আছে। ইসলামই শান্তি ও মানবতার ধর্ম। কাজেই ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা গাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বলন, যুবকরা যদি কোরআন-সুন্নাহ্র আলোকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন গঠন করেন এবং মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন তাহলে নব্য জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে মানবতা মুক্তি পাবে। সেবার নামে খ্রিস্টান মিশনারীদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। দেশ ও সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সকলকে সমবেত হওয়ার আহŸান জানান।

৬৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares