বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মান্দায় মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার, শাশুড়ি আটক

মান্দায় মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার, শাশুড়ি আটক

নওগাঁর মান্দায় শয়নঘর থেকে মা ও দুই বছর বয়সী ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের গনেশপুর সরদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন।
নিহতরা হলেন গনেশপুর সরদারপাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (২২) ও তাঁর ছেলে আমির হামজা (০২)। ঘটনায় আমেনা খাতুনের শাশুড়ি এজেদা বিবিকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আমেনা খাতুনের চাচা সাগর মাহমুদ জানান, প্রায় ৫ বছর আগে ভাতিজি আমেনা খাতুনকে গনেশপুর সরদারপাড়া গ্রামের আবেদ আলী মৃধার ছেলে ময়েন উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় জামাইকে ডিসকভার মোটরসাইকেল, সোনার গহনাসহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন আসবাবপত্র উপঢৌকণ দেওয়া হয়েছিল। এরপরও টাকার দাবিতে মাঝে মধ্যেই ভাতিজি আমেনাকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল জামাইসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
তিনি আরও বলেন, প্রায় তিন মাস আগে ভাতিজি আমেনাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর সে বাবার বাড়িতেই ছিল। তিন সপ্তাহ আগে গণেশপুর ও শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মধ্যস্থতায় সালিসের পর ভাতিজিকে জামাই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পরেই ভাতিজি ও তাঁর দুই বছরের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে জামাইসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
নিহতের মামা আশরাফুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে শনিবার রাত ১১টার দিকে জামাই বাড়ি গিয়ে শয়নঘরের খাটের ওপর মা ও ছেলের মরদেহ পড়তে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে সংবাদ দেওয়া হলে লাশ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় জামাই ময়েন উদ্দিন ও বেয়াই আবেদ আলীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মা ও ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনায় নিহত আমেনা খাতুনের শাশুড়ি এজেদা বিবিকে আটক করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

৩২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares