মধুখালীতে পেঁয়াজ চাষে ব্যস্তÍ চাষি
সংবাদদাতা শাহজাহান হেলাল মধুখালী (ফরিদপুর) ৫ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি- রোববার :; মধুখালীতে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে ব্যন্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ার আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছে চাষিরা। তবে দেশীয় পেয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে। চাষিরা বলছেন অল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় এই হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পেঁয়াজের খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভোরে থেকে সারা দিন ধরে পেঁয়াজ ক্ষেত পস্তুত করতে হয়। জমি চাষ দেওয়ার পর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে পেঁয়াজের চারা রোপনের উপযুক্ত করা হয়। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলি জমিতে দলবেঁধে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যন্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। পেঁয়াজের চারা রোপণের জমিতে একসঙ্গে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন কৃষক পেঁয়াজের চারা রোপণ করে থাকেন।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের কৃষক মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন, এ বছর দেড় একর জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। স্থানীয় শ্রমিক ঠিকমতো না পাওয়ায় পাশের উপজেলা বোয়ালমারী থেকে মিনি ট্রাকে শ্রমিক এনে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। ফলন ও দাম ভাল পেলে আমারা লাভবান হব। একই ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের মোস্তফা কামাল বলেন ১লক্ষ টাকার পেঁয়াজের চারা করেছিলাম।চারা ভাল না হলেও দুই একর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি । আশা করছি ফলন ভাল হলে লাভবান হবো।
কামালদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শহিদুল বলেন,পেঁয়াজ চাষে এখন খরচ অনেক বেশি। পেঁয়াজ বীজের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি ভালো দাম না পায় তাহলে লোকসান গুনতে হবে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেত পরিচর্যায়। পেঁয়াজ রোপনে জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে মজুরি দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে। মধুখালী উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মাহাবুব ইলাহী বলেন,পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। এ বছর পেঁয়াজের আবাদ ৩ হাজার ৫শ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর। পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্রা এ বছর ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে পেঁয়াজ চাষে আরও অনেকে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।