রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাহেরপুর পৌরসভায় বিজয়া দশমীতে বেঁড়িবাঁধ বিনোদন কেন্দ্র ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়

তাহেরপুর পৌরসভায় বিজয়া দশমীতে বেঁড়িবাঁধ বিনোদন কেন্দ্র ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়

৭৭ Views

নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
ঐহিতাসিক রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভায় এবছর বিজয়া দশমীতে নতুন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে বারনই নদীর বেঁড়ি বাঁধ। রাজা কংশ নারায়নরে স্মৃতি বিজোড়িত দূর্গা পূজার আদি উৎপত্তিস্থল তাহেরপুরের এই নতুন বিনোদন কেন্দ্রে এবছর দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়াচ্ছেন। বিজয়া দশমীর দিন বিকেল হতেই এখানে ভ্রমন পিপাসুরা দলে দলে ছুটে আসেন। কেউ নৌকা নিয়ে কেউ মোটরসাইকেলে বা অন্য যানবাহনে এই বিনোদন কেন্দ্রে। সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, তাহেরপুরে বারনই নদীর কুল ঘেষে পুরাতর পেয়াজ হাটা পর্য়ন্ত এখানে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে নদীর পাঁড় শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই পাড় দর্শনার্থীদের বসার জন্য টাইলস লাগানো বেঞ্চি বানানো হয়েছে। রোববার বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে বারনই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে নানান বয়সেরর দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই বেঁড়ি বাঁধে। এসময় এখানে শিশুদের নানান খেলনা পাওয়া যায়। রয়েছিল মুখোরোচক নানান খাবারের ব্যবস্থা। এখানে বসলে যে কারো নয়ন জুড়িয়ে যায়। বিপর্যন্ত অনেকেই একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি ও মানসিক স্বস্তি পেতে ছুটে এসেছিল এই বিনোদন স্পটে। দিনব্যাপি ভ্রমন পিপাসুরা এখানে এসে তাহেরপুরে দর্শনীয় স্থান আদি দূর্গা মন্দির, রাজা কংস নারায়নের রাজ বাড়ি, তাহেরপুর কলেজ সহ নানান দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পোরেছে বিনা পয়সায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে,শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় মর্যাদায় সারা দেশের ন্যায় তাহেরপুরে পূজামন্ডপে পূজা-অর্চনা শ্রদ্ধা অঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে, দেবী দুর্গার ভক্তরা পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব পালন করেন। এবং প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ করেন দুর্গোৎসব। এল্লখ্যে,হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার রাজবাড়ির গোবিন্দ বাড়ীর দূর্গা মন্দিরে। ৫৪১ বছর আগে সম্রাট আকবরের শাসনামলে রাজা কংস নারায়ণ সে সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করেন সোনার তৈরী এই দুর্গাপূজা। তাই দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে গর্ববোধ করেন তাহেরপুরের অধিবাসীরা।

Share This