রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শার্শা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা র নামে  অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ

শার্শা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা র নামে  অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ

১০১ Views

আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরীর নামে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ উক্ত কর্মকর্তা ২৮ আগষ্ট ২০১৬ সালে শার্শা উপজেলায় যোগদান করে নিজেকে একজন স্বনামধন্য সাংসদের বড় ভাই পরিচয় দিয়ে শার্শার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ বানিজ্য করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শিক্ষক বলেছেন মহিলা শিক্ষিকারা টাকাও দিয়েছেন, রাত্রি যাপনও করেছেন। একই কর্মস্থলে ৮ বছর ২ মাস চাকুরী করার সুবাদে স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন হয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গত ৮ বছরে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা, পিওন, আয়া, নাইট গার্ড প্রত্যেকের বেতন এমপিও করার কথা বলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা হারে উৎকোচ আদায় করেছেন। এছাড়া উক্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে যারা এনটিআরসি শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে প্রত্যেকের নিকট থেকে ফাইল স্বাক্ষর করার কথা বলে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা হারে উৎকোচ আদায় করেছেন। কোন শিক্ষক চাহিদা মত উৎকোচ দিতে না পারলে তাকে মাসাধিকাল পর্যন্ত হয়রানি করে উৎকোচ আদায় করে ফাইল স্বাক্ষর করেন। উক্ত কর্মকর্তা বিগত ৩০ অক্টোবর ১৯৯৪ সালে প্রকল্পে যোগদান করেন। ক্ষমতাধর দূর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান যশোর সিভকন টাওয়ার ৮৬ মুজিব সড়ক অভিযাত এলাকায় কোটি টাকার জমি খরিদ করে আলিশান বাড়ীও নির্মান করেছেন। বিগত ৮ বছরে শার্শার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দূঃশাষন, শোষন ও বিভিন্ন অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ক্ষমতাধর এ কর্মকর্তা নিজেকে তার এলাকার একজন সাংসদের ভাই পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর একই কর্মস্থলে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করে চাকুরী করছেন। একই সাথে গড়ে তুলেছেন মুজিব সড়ক যশোরে আলিশান বাড়ী। উক্ত কর্মকর্তার দূঃশাষন, নির্যাতন, অনৈতিক কর্মকান্ড, উৎকোচ বানিজ্যের হাত থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রধান শিক্ষক অবিলম্বে উক্তক কর্মকর্তার বদলী দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহা পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরীর নিকট তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

Share This