বুধবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস কর্মকর্তা

আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস কর্মকর্তা

Views
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টানায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের তোপের মুখ পড়েন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ কমিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ। গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়  যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের আর্লিংটন শহরের কেনমোর মিডল স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান এ ঘটনাটি ঘটে। ভার্জিনিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ডিসি একুশে এলায়েন্স নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে এবং ধ্রুপদের ব্যবস্থাপনায়  আর্লিংটনের কেনমোর মিডল স্কুলে  শনিবার সন্ধ্যায়   আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ২৮টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করা হয়। অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়  ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে। তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় তার প্রতিনিধি হিসেবে দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ কমিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ সেখানে পাঠান। যথারীতি অনুষ্ঠান চলছিল। আলোচনা সভা চলাকালীন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ কমিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ তার বক্তব্য দেবার সময় তিনি  ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আবার ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তিনি চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টিকে যে বেশি ফোকাস করতে গেলে উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি তাদের তোপের মুখে পড়েন ফলে অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটে। বিষেষ করে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনা জান্নাত রিমির তোপের মুখে তিনি মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
মোহসিনা জান্নাত রিমি জানান, এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং বাংলা ভাষার গৌরবগাথা তুলে ধরা। এটি একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান হিসেবে পূর্বেই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সালাউদ্দীন মাহমুদের বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উঠে আসায় পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে ২০২৪ সালের নিহতদের জন্য নীরবতা পালন ও তাদের স্মরণ করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই মঞ্চ ভাষা শহীদদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে, এখানে ৭১ বা ২০২৪ সালের প্রসঙ্গ আনা অনুচিত।’ তার বক্তব্যের পর মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও সালাউদ্দীন মাহমুদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং তার বক্তব্যের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সালাহউদ্দীন মাহমুদ মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
Share This

COMMENTS