সমন্বয়ক টিম থেকে ছাব্বির আহম্মেদ রাজের পদত্যাগ।
২৯ Views
বন্ধুগণ,
আপনারা অবগত আছেন যে, দেশ ছিল এক স্বৈরশাসকের অধীনে। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর ব্যানারে প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সর্বশেষে ১ দফা পেশ করে। এ আন্দোলনের শুরুর দিকে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” বগুড়া জেলার ৭ নং সমন্বয়ক হিসেবে আমাকে যুক্ত করে। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করে, এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ নং সমন্বয়ক হিসেবে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাই এবং যার ফলশ্রুতিতে পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির শিকার হই এবং ৩ আগস্ট ২৪ বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন পুলিশের ছোড়া বুলেটে বিদ্ধ হই। যেগুলোর মধ্যে ৪ টি বুলেট আমার শরীরের ভিতরে ছিল যা একটা ছোট সার্জারীর মাধ্যমে শরীর থেকে বের করা হয়।
বন্ধুগণ,
এরপর ৫ আগস্ট ২৪, ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সেইসুবাদে আমরা পেলাম স্বৈরাচার মুক্ত একটি দেশ। যেই লক্ষ্যে আমি এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলাম, আমি মনে করি তা অর্জিত হয়েছে। এছাড়াও আমি মনে করি, দেশের প্রত্যেকটি লড়াকু ছাত্র একেকজন এই আন্দোলনের সমন্বয়ক। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মটির প্রয়োজনীয়তা হাসিনার পদত্যাগের পর ফুরিয়ে এসেছে।
এমতাবস্থায়, আমি এই মূহুর্ত থেকে এই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” বগুড়ার সমন্বয়কের আসনে আসীন থাকতে চাই না। তাছাড়া, বগুড়ায় কোনো বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক কমিটি থাকুক, এটা সাধারণ ছাত্র-জনতা চায় না। অন্যদিকে, এই সমন্বয়কের অনেকেই এখন সাধারণ ছাত্র-জনতার কাছে বিতর্কিত, যা আপনারা ইতিমধ্যেই প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবগত হয়েছেন। যার সাথে আমার নুন্যতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অতএব, আমি মোঃ ছাব্বির আহম্মেদ রাজ স্বজ্ঞানে এই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” বগুড়া জেলা সমন্বয়কের কমিটি থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং সেইসঙ্গে বিতর্কিত বিষয়গুলোর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ভবিষ্যতে যদি আবার দেশের জন্য ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে নামতে হয় আমি আমার সব্বোর্চ শক্তি দিয়ে ছাত্র-জনতার সাথে থাকবো।
ধন্যবাদসহ
ছাব্বির আহম্মেদ রাজ
মোবাইলঃ ০১৭৮৩৯১২৯৪৩