শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল কেন্দ্রীয় জামায়াত

সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল কেন্দ্রীয় জামায়াত

১৭০ Views

দুলাল সরকার, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন অংশ নিয়ে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ নীলফামারীর সৈয়দপুরের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেনসহ নীলফামারী জেলার ৩ জন শহীদ এবং আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধায় সৈয়দপুর শহরের ড্রিমপ্লাস হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১ লাখ টাকা শহীদ সাজ্জাদের বাবা আলমগীর হোসেনের হাতে তুলে দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েল, সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, সেক্রেটারি মাজাহারুল ইসলাম, শহর আমীর শরফুদ্দিন খান, সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিদ, প্রমুখ। এর আগে নীলফামারী সদরের শহীদ রুবেল ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার শহীদ নাঈমের বাড়িতে গিয়েও সহায়তার অর্থ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জলঢাকা উপজেলার কাজিরহাট এলাকায় গিয়ে নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত ফটো সাংবাদিক রায়হানুল ইসলাম ও শিক্ষার্থী ইয়াসিন আলীকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতের ইসলামীর এখন রাজনৈতিক কোন কর্মসূচী নেই। এখন জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি হলো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। বাংলার জমিনে আর কোন স্বৈরাচারী সরকার যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আজকে আন্দোলন চলছে স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনের যথার্থ সুফল পেতে হলে শুধু তথাকথিত সরকার পরিবর্তন নয় সামগ্রিক রাষ্ট্রযন্ত্রের নীতিরও পরিবর্তন তথা সংষ্কার করতে হবে। এজন্য দেশপ্রেমিক নীতিবান রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাহলে তারা দেশকে একটি সুন্দর সংবিধান উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য আদর্শিক রাষ্ট কাঠামো গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সুখি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাত্মক ভুমিকা রাখতে পারবে। আগামীতে যেন এমন একটি সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তাহলেই আমরা এই বিপ্লবের সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে পারবো এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় করতে পারবো। এজন্য কাজ করছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। তাই তাদের সহযোগিতা করছে জামায়াত। এই মুহূর্তে আইন শৃঙ্খলা স্থিতিশীল করাই মূল দায়িত্ব। যাতে এই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারে। সেটা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের প্রাধান্য।

Share This