শুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বগুড়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফয়সাল হোসেন সনি নামের মামলা।।

বগুড়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফয়সাল হোসেন সনি নামের মামলা।।

৩৫ Views

ইনফিনেট বগুড়াঃ

অভিভাবক বিহীন, ওস্তাদ কিংবা শিক্ষাগুরু, লাগাম ছাড়াই। চাল, চলনে, কথাবার্তায়, মানুষকে ট্যাপে ফালানো, সাড়ে সাত হাত লম্বা, ভাইরাল ব্যক্তির নামে কোর্টে মামলা দায়ের, মামলা নং ৪৬৩/২৪ ইং।

বগুড়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফয়সাল হোসেন সনি নামের এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকার মোঃ মকবুল (প্রাং) এর ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম উজ্জল বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ধনঞ্জয় এলাকার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়সাল হাসান সনি (৩৬)। বর্তমান ফয়সাল হাসান সনি বগুড়ার সেউজগাড়ী এলাকায় বসবাস করেন। সনি একজন ঠক, প্রতারক, অর্থ লোভী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও পরের অনিষ্টকারী ব্যক্তি। অপরদিকে নুরুল ইসলাম উজ্জল একজন সহজ সরল এবং সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। নুরুল ইসলাম উজ্জল বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ১২নং সুখান পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক কর্তৃক নিয়োজিত ইউ, পি সদস্য, পরবর্তীতে পরপর ২ বার নির্বাচিত ইউ, পি সদস্য ও বর্তমান ১নং প্যালেন চেয়ারম্যান। তার যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি আছে।
গত ১১ জুন বিকাল ৩ টার দিকে ফয়সাল হাসান সনি সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বাদীর কাছে থেকে টাকা দাবী করে এবং বলে- ‘আমাকে টাকা না দিলে আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার আইডি থেকে ভুয়া নিউজ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করে দিব। তাহলে তোমার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়ে যাবে।’ মামলার বাদী নুরুল ইসলাম উজ্জল আসামি সনিকে টাকা দিতে অস্বীকার জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম উজ্জল ঘূর্নাক্ষরেও অবগত ছিল না।
এরপর গত ১৩ জুন বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ ফেসবুকে নুরুল ইসলাম উজ্জল দেখতে পায় যে, “আলোচিত উজ্জল ইউ, পি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার ।“ এই নিউজটি দেখে নুরুল ইসলাম উজ্জল তার অফিস থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, আসামি ফয়সাল হাসান সনি বাদীর মান সম্মান নষ্ট করার কু-উদ্দেশ্যে এই ভূয়া নিউজ প্রকাশ করেছে। পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম উজ্জল তাকে জিজ্ঞাসা করলে আসামি সনি বলে- ‘যে আমাকে টাকা না দেওয়ার সাধ তোমাকে বুঝিয়ে দিলাম।’
এভাবেই বেশ কিছু দিন যাওয়ার পর সনি আবারও বাদীর কাছে টাকা দাবী করে। বাদী এবারেও টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপর হঠাৎ বাদী ফেসবুকে দেখতে পায় যে, সনির আইডি থেকে একটি নিউজ প্রকাশ করা হইয়াছে। নিউজটি হলো “বগুড়া গাবতলী উপজেলার সুখান পুকুর ইউনিয়ন পরিষদে চলমান চাল বিতরণের সময় ইউ, পি সদস্য একজনকে ধাক্কা মারলে তিনি সেখানেই মারা যায়।” – এই নিউজটি বাদী দেখে আশ্চার্য হয়ে যায়। নিউজটি প্রকাশ হওয়ার পর গাবতলী থানা অফিসার ইনচার্জ, বগুড়া জেলা ডিবি, এন, এস, আই’ এর লোকজন ডিএসবি সহ প্রশাসনের লোকজন ও কিছু সাংবাদিক সেখানে হাজির হয়। তখন তানা দেখতে পায়, এই রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। কোন ইউনি সদস্য কাউকে ধাক্কা মারেনি ও কেউ মারা যায় নি। নিউজটি ভূয়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এমনিভাবে আসামি ভূয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ করেছে।
আসামি তার নিজস্ব আইডি ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে এই ভূয়া নিউজ প্রকাশ করে বাদীর সামাজিক ও ব্যক্তি মর্যাদা হানি করেছে এবং বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় বা সুবিধা আদায় এর লক্ষ্যে পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে ভূয়া নিউজ প্রকাশ করে বাদীকে মানসিক নির্যাতন করেছে । পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮ (২) ধারার অপরাধ করিয়াছে। আসামি তার কৃতকর্মে অনুতপ্ত হলে আপোষ করার কথা বলে। পরবর্তীতে আপোষ না করায় বাদী থানায় মামলা করতে যায়। তখন থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেয়। একারণে কোর্টে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়।

Share This