শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি অর্থ বছরে ব্যোর ধান ও আমন ধান সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান শার্শায় যোগদান করার পর থেকে নিজে কৃষক/চাষি সেজে সরকারী অর্থের বিনিময়ে ব্যোর ধান ও আমন ধান খরিদ করেন। সরকারের নির্দ্দেশনা আছে অত্র উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি ধান সংগ্রহ করার। অথচ তা না করে দূর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা নিজেকে ক্ষমতাধর কর্মকর্তা পরিচয়ে অন্য জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে শার্শা উপজেলার কৃষকদের নাম দেখিয়ে ভূয়া কৃষকদের নাম দিয়ে ধান সংগ্রহ করে। এলাকার সাধারণ কৃষকদের দাবী আমাদের কাছ থেকে ধান খরিদ না করে গুদাম কর্মকর্তা অন্য জেলা থেকে কম দামে ধান সংগ্রহ করে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য চাষিদের ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে নাভারণ রুপালি ব্যাংক থেকে প্রতিটি বিলের বিপরীতে সর্বনিম্ন ৮/১০ হাজার টাকা হারে উৎকোচ আদায় করেন। ঐ গুদাম কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান খুবি ধুরন্দর ব্যাক্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী পাওয়ার পর সে নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য বলে দাবি করেন। সাধারণ স্বচেতন মহল দাবি করেছেন। আসলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা পোষ্য কিনা তা খতিয়ে দেখার দরকার। দূর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা শার্শা উপজেলা থেকে ধান সংগ্রহ না করা, সরকারী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। বর্তমান খাদ্য কর্মকর্তাকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামত সরকারী চাল, ধান সংগ্রহ করে থাকেন। আবারও আমন ধান সংগ্রহ করার জন্য নিজেকে স্বচ্ছ রাখার জন্য মাইকিং করে জানান দিয়েছেন ২৪ ডিসেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ শুরু হবে। এলাকার স্বচেতন মহল ও কৃষকদের দাবী দূর্নীতিবাজ উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্কিত ঘটনা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান এক স্বাক্ষাতকারে জানান কৃষকদেরকে এ্যাপসের মাধ্যমে সরকারী গুদামে ধান বিক্রয়ের আবেদন করতে হবে। যদি কোন কৃষক আবেদন করতে না পারে আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল ইসেবা কেন্দ্রে গেলেই আবেদন করতে পারবে। তবে গত ব্যোর মৌসুমে ব্যোর ধান ক্রয়ে যে অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে তা রেজিষ্ট্রার ধরেই তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।