প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ৯:৪৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ৬:১৫ অপরাহ্ণ
রাজশাহীর বাঘায় জেঁকে বসেছে শীত-কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশাঁর সঙ্গে হালকা ফোটা ফোটা বৃষ্টি।দিনভর দেখা মেলেনি সুর্যের। দিনের বেলাতেও হেডলাইন জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। অগ্রহায়ণের শেষদিকে এসে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত।
ভোরের প্রকৃতি ঢেকে থাকছে ঘন কুয়াশায়। বেলা না গড়ানো পর্যন্ত ঠাণ্ডা কমছে না। আবার বিকালের পর থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে আরও শীত বাড়ছে। এর ফলে শীতে কাঁপছে মানুষ। এরইমধ্যে গ্রামের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে মানুষের। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই গরম কাপড় কিনতে পারছে না। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষ। তাদের জন্য এখনও সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র নিয়ে আসেনি কেউ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর সোমবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাজশাহীর বাঘা উপজেলাতেও শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণা গারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘এখন কয়েকদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এখনই শৈত্যপ্রবাহের কোন পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে শীত নামলেও রাজশাহীর বাঘা এলাকায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। সম্প্রতি শুধু একটি শাহজালাল ব্যাংক উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকায় কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করবে বলে জানা গেছে। এর বাইরে কোথাও কাউকে শীতার্ত মানুষের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। রাজশাহী জেলা থেকে বরাদ্দের কথা শুনেছি, পেলে উপজেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।
Copyright © 2024 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.