গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাসহ বেশকিছু এলাকায় কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়জের চাষ করা করেছেন। আশ্বিন-কার্তিকে পেঁয়াজ রোপন করলেও আগ্রাহায়ন-পৌষে উঠানো শুরু হবে। শীতের শুরুতেই পোয়াজ পাতাসহ বিক্রি হলেও পরে বল বড় হওয়ায় মুড়ি কেটে বিক্রি করেন তারা। বীজ,সার তেলসহ কৃষি উপকরণ ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে ব্যয়ো বেরেছে। তবে পিয়াজের বাজার দর ভালো পেলে এ আবাদে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন বলে আশাবাদি চাষিরা। চাষীরা বলছেনে অনুকুল আবহওয়া আর সময়মত সার,সেচ,পরিচর্যা ও রোগ বালাই দমনে কিটনাশক স্প্রে করায় এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন হয়েছে ভালো। মৌসুমের শুরুতে কাঁচা পাতাসহ প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ গাজার ২শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১শ’ থেকে সাড়ে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পাতাসহ প্রতি কেজি পিয়াজ ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সার তেল ও চরামূল্যে গোটা পেঁয়াজ বীজ কিনে ফসল আবাদ করায় ফসলের উৎপাদিত খরচ বেরেছে জানান তারা। চাষীদের আশা প্রতি বিঘা পিয়াজ বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন পেঁয়াজের চাষ বৃদ্ধি করতে নানা উদ্যোগের নেন তারা। পেঁয়াজের ফলন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়ার কাথায় জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য অনুযায়ি এ বছর ১ হাজার ৯শ” ৪৪ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন প্রায় ৮ থেকে সাড়ে ৯ মেট্রিক টর। মৌসুম শেষে পেঁযাজ চাষ লক্ষমাত্র ছারিয়ে যাবে বলে আশা স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের।