ভোলা প্রতিনিধিঃ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মোঃ রমজান মিয়া জীবন হত্যা মামলায়, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছকে (৫৪) সন্দেজনক ভাবে পুলিশ গ্রেপ্তারের পরে আদালতে সোপর্দ করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদারতে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হাসান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর হোটেল ৭১ এর পাশের গলি থেকে মোঃ ইউনুছকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার সুত্র ও এ্যাড. আবুল কায়ের সিকদার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ছাত্র-জনতার সাথে মিছিলসহ পল্টনের দিকে যাচ্ছিলেন মোঃ রমজান মিয়া জীবন। পথিমধ্যে গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সাথে সাথে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। ৬৫ দিন পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ৯ অক্টোবর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় শৈ^রাচার আওয়ামীলীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জন আসামীর নাম উল্ল্যেখ করে ২৯ অক্টোবর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মোঃ জামাল উদ্দীন। মামলার বাদী জামাল উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার কৃতকে তিনি আসামী করেননি এবং তাকে চেনেননা। সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হাসান জানান, মোঃ ইউনুছকে সন্দেহজনক ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।