গাইবান্ধা প্রতিনিধি: তিস্তা সেতু নির্মাণে দুই পাড়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। এখন শুকনা মৌসম। নদীতে পানি কম। কাজ করার উপযুক্ত সময়। দ্রæত সেতুর কাজ শেষ করতে হচ্ছে। যাতে জনগণ দ্রæত উপকার পায়। সেতুটি যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য যেন সাধিত হয়। এই সেতুর এ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শেষের কাজগুলোতে সময় বেশি লাগছে।
শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরে তিস্তা নদীর উপর সেতু পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে। এই অধিদপ্তরের এতো বড় সেতু এটাই প্রথম। সেতুটি নির্মাণ করায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে। সেই সাথে আমাদের সকলের কাজ করার মনোবলও তৈরি হয়েছে। বড় সেতু আমরা আরও তৈরি নির্মাণ করতে চাই যদি সরকার আমাদের সমর্থন দেন। প্রথম যে বরাদ্দ ধরা হয়েছিলো তা বাস্তব কাজের সাথে মিল রয়েছে।
এসময় সময় তিস্তা নদীর উপর দীর্ঘ ১৪৯০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেক, ঢাকা সদর দপ্তরের প্রকল্প পরিচালক গোলাম মওলা, গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম, রংপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মুসা, কুড়িগ্রাম এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদার রহমান, লালমনিরহাট এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম, গাইবান্ধা এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হাসনাইম, জেলার সকল উপজেলা প্রকৌশলীরা, কনসালটেন্ট দলসহ ঠিকাদার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হলেও নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৯০ মিটার। সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩১টি স্প্যান। সেতুর উভয় পাশে সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হচ্ছে। সেতুটির উভয় পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।