ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বলগাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাপিজুর রহমান চৌধুরী বিরুদ্ধে দৃনীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ১২ বছর যাবত শিক্ষকের টিউশন ফি টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরন না করে নিজে অত্মসাৎ করেছে। নিয়ম বহিভুতভাবে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাছে শোভা ধারনকারী ও বিদ্যালয়ে সম্পত্তিতে অবস্থিত ২৫৬ টি ইউক্যালেপটাস গাছ কেটে বিক্রয় করে নিয়ে অত্মসাৎ করেছে। যার মুল্য ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বিগত ১২ বছর যাবত অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষার উন্নয়নের কোন প্রকার মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবাষিক কিংবা বার্ষিক শিক্ষক বৈঠক অভিভাবক সমাবেশ কিংবা জনসংযোগমুলক কোন কার্যজক্রম না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করে চলছে। শিক্ষক প্রতিনিধদের মতামত ছাড়াই এমনকি সশিষ্ট শিক্ষক প্রতিনিধিদের অজ্ঞাগসারে শিক্ষক প্রতিনিধি নিবার্চন করেন এবং নিজের সার্থ হাসিলে জন্য ম্যানেজিং কমিটি তৈয়রী করে থাকেন। ১ যুগ ধরে বিদ্যালয়ের আবাদি জমি গুলো অর্থের বিনিময় লিজ প্রদান করে নিজে একক ভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। প্রধান শিক্ষক আওয়ামীলিগ মনোনিত সভাপতির যোগসাজোসে, কৌশলে গোপনীয়তা রক্ষা করে তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও অন্যান্য পদ সুমহ প্রায় ১ কোটি টকা নিয়োগ বানিজ্য করেন। যা বিদ্যালয়ে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। শিক্ষকের বি এড স্কেল, উচ্চতর স্কেল এমন কি এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির ক্ষেত্রে হয়রানী অর্থনৈীতি ভাবে জোর পুর্বকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষাথীর উপবৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে খরজের নাম করে অর্থ আদায় করে থাকে অভিভাবকে কাছ থেকে। গোপনীয়তা রক্ষাতে অর্থ আত্মসাৎ ও নিজ স্বার্থ লাভের আশায় বারবার একই ব্যক্তিকে সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ পুর্বক উপরোক্ত অনিয়ম সমুহ সম্পন্ন করেন । উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরীর এহেন দৃর্নীতির বিরুদ্ধে উক্ত বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী একযোগে লিখিত স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ যোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন বলে জান যায়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানান, এ ব্যাপারে কদন্ত চলছে।