নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাগমারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে দুইটি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ভবানীগঞ্জ বাজারের গোডাউন মোড়ে রাকিব ফার্মেসী ও ড্রাগ মিউজিয়াম ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমনা আদায় করা হয়। এসময় দুইটি ফার্মেসীতে ৩০ হাজার টাকা জরিমনা করা হয়। এদিকে,ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থ দণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে দ্বায়িত পালন করেন। তিনি দির্ঘ সময় ধরে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ঔষধ প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,রাজশাহী জেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শরিফুল ইসলাম। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, ভবানীগঞ্জবাজারের রাকিব ফার্মেসি ও ড্রাগ মিউজিয়াম নামের দুইটি ঔষুধের দোকানে বিনামূল্যের (সিম্পল) ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিতিতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় তাঁরা চিকিৎসকের কাছ থেকে ময়াদোত্তীর্ণ ঔষধ কিনেছেন বলে স্বীকার করেন। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম রাকিব ফার্মেসির ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাগ মিউজিয়ামের ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড করেন। অভিযানের সময় দণ্ডের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দপ্তরে আনা হয়। পরে দণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে, অভিযানের পরেই বাজারের ঔষধের দোকান্দারেরা তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘটে ডাক দেন। পরে বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির বাগমারা শাখা তাদের সংগঠনের অর্ন্তভূক্ত দোকানগুলো বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন। সমিতির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদফ মাহফুজুল হক জানান, তাঁরা সব কিছু মেনে ব্যবসা করে আসছেন। অযথা অভিযানের নামে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। হয়রানি বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট চলছে। ঔষধের সিম্পল রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকদের বিনামূল্যে দেওয়া ঔষধ তাঁরা বিক্রি করে থাকেন। এর দায় কোনোভাবে দোকানদারদের নয়। অর্থদণ্ডের টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম জানান, তাঁদের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিনামূল্যের ঔষধ পাওয়া গেছে। যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের সর্তক হওয়ার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়ম মেনে অভিযান চালানো ও অর্থ দণ্ড করা হয়েছে। তবে দোকানদারদের ধর্মঘটের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।