শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মত আজও আন্তঃজেলা ও দূরপালার সকল পরিবহন বন্ধ করে রেখেছে মালিক শ্রমিক সংগঠন। ফলে ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে এই পরিবহন চলাচল।এতে দুর্ভোগ ও খরচ বেড়েছে পার্সপোর্ট যাত্রীদের। এদিকে বৈঠকের পরও সুরাহা না হওয়ায় বেনাপোল থেকে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে দূরপালার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। কবে নাগাদ বাস চলাচল করবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,সমস্যা সমাধানের জন্য আজ রোববার দুপুরে আমরা সকল পরিবহনের ম্যানেজাররা যশোর জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক করি। বৈঠকে জেলা প্রশাসক সাহেব বলেছেন যে উপদেষ্টা সাহেবের নির্দেশে এটা করা হয়েছে। উপদেষ্টা সাহেবের নির্দেশ ব্যথিত আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে হবে এবং নামাতে হবে। মিজানুর বলেন, আমাদের দাবি দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে রাখবে বলে মালিকরা জানিয়েছেন। এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দুরপালার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, ইজিবাইক, জেএসএ, ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও নসিমনে চলাচল করছেন। বেনাপোল থেকে দূরপালার বাস বন্ধ থাকলেও ১২কিলোমিটার দুরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় কিম্বা যশোর থেকে ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। ভারত থেকে ফেরা পুরান ঢাকার কাজল চন্দ্রদে বলেন, “বেনাপোল থেকে বাস না ছাড়ায় বাধ্য হয়ে সিএনজিতে করে নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে এসেছি। অপেক্ষা করছি সাতক্ষীরা থেকে কখন বাস আসবে তার। কেউ বলতে পারছে না, কখন বাস আসবে। ঢাকার মন্দিরা ঘোষ, নারায়নগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনও বসে আছে নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, আমরা তো চেকপোস্টের বাস টার্মিনাল বন্ধ করিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বেনাপোল স্থল বন্দর টার্মিনালের গেট বন্ধ রেখেছে। "নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে এটা করা হয়েছে। তার নির্দেশনা ব্যতিত আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।"