মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজুর রহমানের উদাসীনতা, সদিচ্ছার অভাব ও আন্তরিক সহযোগিতার অভাবে চিলমারীতে এপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজে ধীর গতি সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত কাজে বাধা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচপীর বাজার হতে চিলমারী উপজেলা সদরের সহিত সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়)। (কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী অংশ) এপ্রোচ রোড নির্মাণ কাজের প্যাকেজ সুন্দরগঞ্জ-৫.৫/ডাবিøউ-১৭ কাজটি দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। মীর হাবিবুল আলম ঠিকাদার হিসেবে গত ১১/০২/২০২৪ইং তারিখে ঠিকা চুক্তি ও কার্যাদেশ মোতাবেক যথাসময়ে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে চেঃ ১২২০ মিটার হতে ৫২৩০ মিটার অংশের চেঃ ২৯৮৫ মিটার হতে ৫২৩০ মিটার মাটির কাজ সহ ডাবিøউ এমএম পর্যন্ত কাজ সম্পাদন করে ¯øপ প্রোটেকশন এর জন্য সিসি বøক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে কাজটি দ্রæত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেঃ ০০-১২২০ মিটার ও ১২২০-১৪৭৬ মিটার অংশে পুরাতন বেড এর হার্ড বেড প্রিপারেশন সহ ওয়াইডেনিং কাজটি গত ০২/১১/২০২৪ইং শুরু করে এজিং উঠানোর কাজ করার পর সড়কের হার্ড বেড প্রিপারেশন কাজ শুরু করলে সমগ্র রাস্তায় জমির মালিকানা দাবী ও ক্ষতিপূরণের অর্থ না পাওয়ায় এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত দ্বিমত ও ল্যান্ড এ্যাকুইজেশন দপ্তরে গাফলতী সহ ভুল নির্দেশনার কারণে গত ০৬/১১/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত ভেকু চালানোর কাজে তথাকথিত ক্ষতিগ্রস্ত ৯৪ জনের সমিতির সভাপতি মোঃ আঃ করিম ও কথিত মোঃ আব্দুর রহিম (দুলাল) সহ অধিকাংশ জনই উপস্থিত থেকে এপ্রোচ রোড নির্মাণ কাজের সাথে জরিত লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার, অসাদাচারণ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরকে জানালেও অফিসের লোকজন সাধারণ লোকজনের সাথে আলোচনা করেও সমাধান করতে পারেনি। গত ২৩/১১/২০২৪ইং তারিখ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিশ্রাম নিচ্ছে। ভেকু সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ অলস পড়ে আছে। চৌকিদার ও নির্মাণ শ্রমিকদের অলস বসিয়ে পারিশ্রমিক প্রদান করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এপ্রোচ রোড নির্মাণের জন্য অর্থাৎ ডাবিøউ এমএম কাজ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালু, খোয়া, মজুদ করলেও কাজ বাস্তবায়নে ধীর গতি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে বলে তাদের দাবি। এ ব্যাপারে নিযুক্ত ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৫ লক্ষ ইট ভেঙ্গে খোয়া তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমরা বালু সংগ্রহ করেছি। সবকিছু রেডি থাকলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজটি দ্রæত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ফলে এই কাজ শেষ হলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে।
এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজুর রহমান জানান, জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নিজেরা সবকিছু করতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করা হবে। কিছু কিছু কারিগরী সমস্যা রয়েছে। যা আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা সমাধান দিবো।
এব্যাপারে স্থানীয় অটোচালক রমজান আলী ও কেরামত আলী জানান, এপ্রোচ রোড নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কোমলমতি শিক্ষার্থী বিপু ও সুমন জানায়, এই রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে আমাদের দুর্ঘটনার মুখে পড়ার ঝুঁকি প্রতিনিয়তই থাকে। রাস্তাটির কাজ দ্রæত শেষ হলে আমরা ভালোভাবে চলাচল করতে পারবো।