পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে মোঃ মিজানুর রহান মিজান ; দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মমতাজ বেগম(৪০) নামের এক গৃহবধুকে বিধবা ভাতার সুযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহায়তা করেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিগণ। একাধিক নির্ভরশীল সূত্রে সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার ৭নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের মোঃ নুর জ্জামানের স্ত্রী মমতাজ বেগম দীর্ঘ দিন যাবত বিধবা ভাতা ভোগ করে আসছেন। এ বিষয়ে মমতাজ ও তার স্বামী নুর জামানকে তাদের মুদি দোকান ঘরে এক সঙ্গে পাওয়া গেলে বিধবা ভাতা ভোগ করার বিষয়টি তারা দু’জন অকপটে স্বীকার করেন। নুর জামান জানায়, কয়েক বছর পূর্বে একটি ফৌজদারী মামলায় তিনি জেলা কারাগারে বন্দিথাকার কারণেএই ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাকে সরকারি অনুদান পাইয়ে দিতে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ভোটার আইডি’র কার্ড ও ছবি নিয়ে যায়। মমতাজ বেগম বলেন, বিধবা ভাতা প্রাপ্তির জন্য তিনি কোন আবেদন করেনি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন মেম্বারই ইয়াকিন আলী নিজ খেয়াল খুশি মত বিধবা ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করেছে। গত কয়েক বছর পূর্বে ভাতার বরাদ্দ অনুমোদন হলেও অভাবের তাড়নায় আমি কয়েক মাসের ভাতা গ্রহন করেছি। অন্যান্য মাসের ভাতা তাকে দেয়া হয়নি বলে মমতাজ বেগম বলেন। মমতাজের স্বামী নুর জামান আরও বলেন, অশিক্ষিত ও দারিদ্রতার কারনে আমার স্ত্রী উক্ত ভাতা গ্রহন করলেও এটা ছিল সম্পূর্নরুপে অনিয়ম। কিন্তু ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগন জেনে শুনেও কেন এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে আমার স্ত্রীকে জড়ালো, এটা তাদের অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হলে তাদের বিরুদ্ধেই হতে হবে।বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানায়, আমার জানা মতে, তার দায়িত্বকালে এমন কোন অনিয়ম করা হয়নি বিষয়টি আমি জানি না। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তাপস রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #