আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) ॥ আ ন ম বজলুর রশীদ কালু জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ১৬/১৭ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে বাংলাদেশে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। বাকশাল থেকে কঠিন থেকে আরও কঠিন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কণ্ঠ বন্ধ করে মতামত প্রকাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অফিস আদালতসহ সকল সরকারী দপ্তরগুলোতে একনায়কতন্ত্র করেছিলেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা সারাজীবন যেন স্থায়ী বন্দোবস্ত করার পায়তারা করার প্রক্রিয়া করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে শুধু সকল দপ্তরই নয় এদেশের পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহীনি যেই সেনাবাহিনী পৃথিবীর মধ্যে একটি গৌরবজ¦ল। সেই সেনাবাহিনীকেও বিতর্কিত করেছিলেন। বিতর্ক সব জায়গাতেই করেছেন। সেই সাথে সাংবাদিকদের পেশাকেও বির্তক করেছিলেন বিভিন্ন কালা-কানুন করে বিভিন্ন অন্ধ আইন করে আপনাদের হাতের কলমের জোড়কে বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনাদের কণ্ঠকে রোধ করে দিয়েছিলেন। স্বাধীন মত প্রকাশের সকল রাস্তা তিনি স্তব্ধ করে দিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন শেখ হাসিনা। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ক্ষমতা কারও চিরস্থায়ী না। আমরা দেখেছি বিশে^র অনেক নেতাই এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে বেশিদিন টিকতে পারেনি। আমরা চাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যান্য দপ্তরের থেকে বেশি ভূমিকা রাখুক সংবাদপত্র। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংবাদপত্র ছাড়া আর কোন মাধ্যম নাই। দেশব্যাপী ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে ভারতে নরেন্দ্র মোদির কাছে চলে যায়। ঠিক সে সময় আপামর মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বঙ্গভবনসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন ভবন, ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভবন ভাংচুর করেছে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এসব ঘটনার নিন্দা জানাই।
বৃহষ্পতিবার বিরল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিরল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ ন ম বজলুর রশীদ কালু এসব কথা বলেন।
এ সময় পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরজামাল হোসেন (সোনাহার), সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুনুর রশীদ রাজু, পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম রুবেল, শ্রমিকদলের আহ্বায়ক একরামুল হক চুন্নু, সদস্য সচিব আব্দুল আলীম, কৃষকদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরজামাল হোসেন (সোনাহার), সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুনুর রশীদ রাজু, পৌরযুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম রুবেল, শ্রমিকদলের আহ্বায়ক একরামুল হক চুন্নু, সদস্য সচিব আব্দুল আলীম, কৃষকদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।