অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারি জিআর চাল বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলার মনিদুল ইসলাম ও তার ছেলে মোঃ হাবিব পুরনো চাল মিশিয়ে নতুন বস্তায় ভরে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা দাবি করেন, দুর্গাপূজায় মন্দিরে বরাদ্দকৃত ৪৬টন জিআর চাল নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেছেন। তবে বৈধ কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধে তারা তা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন।
ডিলারের মিথ্যা দাবির বিপরীতে চাপারহাট পূজা কমিটির সভাপতি ধনঞ্জয় রায় জানান, তাদের নামে করা বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (রুটিন দায়িত্ব) স্বপন কুমার দে জানিয়েছেন, মনিদুল ইসলাম এবং মোঃ হাবিব কোনো অনুমোদিত ডিলার নন। সরকারি জিআর চাল চুরি ও বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, এবং এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ হচ্ছে জিআর চাল চুরির এই ঘটনা নতুন নয়। স্থানীয় প্রশাসন এর আগেও চাল উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়েছে। তবে হাবিব ট্রেডার্সের তালাবদ্ধ দোকানে অভিযান চালাতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। অনেকের মতে, প্রশাসনের অনুসন্ধান থেমে যাওয়ার পরেই মনিদুল ও হাবিবের এই অপকর্ম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এতো বিপুল পরিমাণ চাল কীভাবে তাদের দোকানে রাখা সম্ভব হলো। এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ডিলার মনিদুল ও হাবিবের সখ্যতার বিষয়টিও উঠে আসছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা জানান, ডিলার মনিদুল ইসলাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতি সরকারি খাদ্য কর্মসূচির এ ধরনের অনিয়ম নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
এ ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এলাকার খাদ্য নিরাপত্তা ও সরকারের সুনাম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।