নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ, সোনাতলা সংবাদদাতাঃ বগুড়ার সোনাতলায় অর্থ লেনদেন সংক্রান্তের জেরে মারপিটের ঘটনায় তিন ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতরা হলেন-উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের নুরারপটল গ্রামের মৃত আজিজার রহমান মোল্লার ছেলে মো. সাহাবুল ইসলাম(৪৫),মো. জহুরুল ইসলাম(৫৫) ও মহিচরন গ্রামের মো. আয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো.রফিকুল ইসলাম (৩৫)। এদের মধ্যে সাহাবুল ইসলাম সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর দু'জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মারপিটের এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় মহিচরন বাজারে।
এ ঘটনায় আহত সাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম ও হালু মিয়ার নাম উল্লেখপূর্বক ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে মারপিটের সময় কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করেন।
অভিযোগ ও সরজমিনে জানা যায়, মহিচরন গ্রামের রফিকুল ইসলাম হলো সাহাবুল ইসলামের বোনের দেবর। এসুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সাহাবুল ও তার এক আত্মীয় একই গ্রামের আ: সালামের প্রয়োজনে রফিকুলের নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা ধার নেন। ধারের এ টাকা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে সাহাবুল ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে কলহ-বিবাদ চলে আসছে। এরই জেরে গত রবিবার সন্ধায় মহিচরন বাজারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সাহাবুল ইসলাম বলেন,আমি ও আমার আত্মীয় আ: সালাম ( সম্পর্কে মামা) আমার বোনের দেবর রফিকুলের নিকট থেকে একলক্ষ টাকা ধার নিই। কিছুদিন আগে আমি আমার ভাগের ৫০ হাজার টাকা দুইজন ইউপি সদস্য ও গ্রামের মাতামুব্ববির সাক্ষাতে পরিশোধ করি।
এরপরও আ: সালামে ভাগের ৫০ হাজার টাকার জন্য আমাকে পুনরায় চাপ দিয়ে আসছে রফিকুল। বাকি ৫০ হাজার টাকা আ: সালামের নিকট থেকে নেয়ার কথা বললে রফিকুল ও তার ভাই আমাকে মারপিট করে এবং আমার কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি গত দেড়বছর আগে অন্যের জমি এক্রিমেন্ট নেয়ার জন্য একলক্ষ টাকা সংগ্রহ করে রেখে দেই। হঠাৎ করেই আমার বড়ভাবীর ভাই সাহাবুল ও তার আত্মীয় আ: সালাম এসে অনেক অনুরোধ করে একলক্ষ টাকা ধার চায়। কয়েকদিন পরেই তারা দু'জনে ধারের টাকা শোধ করবেন বলে জানান সাহাবুল। তখন আমি সাহাবুলকে জানাই যে,আপনি আমাদের আত্মীয়, আপনাকে টাকা দিতে পারি, অন্য কাউকে দিতে পারবো না। তখন সাহাবুল বলে যে, ঠিক আছে আমার হাত দিয়ে টাকা নেবো আবার আমার হাত দিয়েই শোধ করবো। তার কথামতো আমি একলক্ষ টাকা ধার দিই। এরপর কথানুযায়ী টাকা চাইতে গেলে আজ নয় কাল,আবার কাল নয় পরশু এভাবে কালক্ষেপণ করতে করতে একবছর পরে গত ১১-০৩-২০২৪ ইং তারিখে ৫০ হাজার টাকা শোধ করেছে। বাকি টাকা চাইলে উল্টাপাল্টা কথা বলে।
গত ১০ নভেম্বর মহিচরন বাজারে বাকি টাকা চাইতেই সাহাবুল ও তার লোকজন আমাকে মারপিট করেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী লালন বলেন,আমাদের উপস্থিতিতে সাহাবুল ইসলাম ধারের ৫০ হাজার টাকা রফিকুলকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন নবী জানান, সাহাবুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।