স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ
বগুড়ার কাহালুতে যৌতুকের দাবি করে পিতৃহীন স্ত্রীকে নির্যাতন কারি সেই স্বামী জাহিদুর রহমান মামুন(৫২) কে কাহালু থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাহালু থানার সামনে হতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কাহালু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীনুজ্জামান। জানা গেছে গত ৬ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা হাসপাতালের সামনে রাস্তায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী জাহিদুর রহমান মামুন তার সম্বন্ধী জিল্লুর রহমান জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে।
এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন গুরুত্বর আহত হয়ে কাহালু উপজেলা হাসপাতসলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে ঐ দিন স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৩৬) স্বামীকে অভিযুক্ত করে কাহালু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে অভিযোগটি মামলা আকারে আমলে নেয় পুলিশ। জানা গেছে, কাহালু সদর ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামের মৃত ফজলার রহমানের কন্যা ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে মালঞ্চা ইউনিয়নের অঘোরশাল গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ জাহিদুর রহমান মামুন (৫২) এর গত ২২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
সংসার জীবনে তাদের ৩ টি কন্যা সন্তান সহ ৪ টি সন্তান রয়েছে। স্বামী জাহিদুর রহমান মামুন দীর্ঘ দিন ধরে যৌতুকের জন্য স্ত্রী ফরিদার উপর নানা ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। গত ৫ অক্টোবর রাতে ফরিদা ইয়াসমিন স্বামীর সংসারে তার শয়ন কক্ষে অবস্থান করার সময় তাঁর স্বামী জাহিদুর রহমান ফরিদার বাবার বাড়ি হতে যৌতুকের ১ লাখ টাকা আনতে বলে। এতে স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন অপারগতা প্রকাশ করায় তার উপর নেমে আসে অমানষিক শারীরিক নির্যাতন।
এঘটনা ফরিদা তার ভাইদের অবহিত করলে তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য ৬ অক্টোবর বুধবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে কাহালু মাস্টার পাড়ায় অবস্থিত বাসায় আসে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যৌতুকলোভী স্বামী জাহিদুর রহমান মামুন স্ত্রী ফরিদা ও তার ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ফরিদা ইয়াসমিন তাঁর ভাইকে নিয়ে
তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ঐ দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে কাহালু মালন্চা রাস্তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পাকা রাস্তার উপর আমার স্বামী জাহিদুর রহমান আমাকে ও আমার বড় ভাই জিল্লুর রহমান জুয়েল (৪৫)এর পথ রোধ করে জিল্লুর রহমান জুয়েলকে তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করে। এসময় জুয়েলের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত পাশেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেয়। জুয়েল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও তার বোন ফরিদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় জাহিদুর রহমান মামুনকে অভিযুক্ত করে ঐ দিন স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন কাহালু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।