ভোলা প্রতিনিধি ; ভোলা সদর শহরের ঐতিহ্যবাহী জিয়াসুপার মার্কেট এবং সাথী ক্লোর্থ স্টোরসহ দুইশতাধীক ব্যবসায়ীরা ১৬ বছর পরে রাহুমুক্ত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর আদালতের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এই রাহুমুক্ত হয়।
মামলা সুত্রে জানা গেছে,ভোলা জেলা যুবলীগের সভাপতি,সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাগীনা মনিরুজ্জামান ২০১০ সালে ভোলা পৌরসভার মেয়রপদ দখল করে নেয়ার পর থেকে পৌর শহরের মার্কেট, রাস্তা, খালপাড়, পাবলিক টয়লেটের জমি দখলে নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তার ক্যাডার বাহিনীর প্রধান,মৃত-এবিএম ইমরান মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান রাজুকে দিয়ে জিয়া সুপার মার্কেট দখলে নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রির পায়তার করে। তা না পেরে-সাথী ক্লোথ স্টোরসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবী করে তালা রাগিয়ে দেন। দুইশতাধীক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে পরলে, মেয়র মনিরের দ্বারস্থ্য হন। তিনি সমজোতা করে দিবে বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সাথী ক্লোথ ষ্টোরের তালা খুলে দেন। এর পর থেকে রাজু বিভিন্ন সময়ে মেয়রের কথা বলে ৭নং সাথী ক্লোথ স্টোর থেকে ২০ লাখ টাকা চাদা নেন। মার্কেট ও দোকান মালিক আলহাজ¦ হারুন-অর-রশিদ দিশেহারা হয়ে-মজিবুর রহমান রাজু গংদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১১/০১/২০২৪ ইং নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৩/২০২৪ ইং। আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রুল জারি করে জবাব চান। ৩০/১০/২০২৪ইং তরিখে অধিকতর শুনানী শেষে আদালত বিবাদীদের উপন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের এ্যাডঃ আদিল মাহামুদ জানান, বিবাদীরা সন্ত্রাসী, ভুমীদস্যু ও চাদাবাজ। তারা মেয়র মনিরের ক্যাডার হয়ে অপকর্ম করে চলে, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করার আদেশ রয়েছে। বিবাদী মজিবুর রহমান রাজু গংদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি, মেয়রসহ তারা ৫ আগষ্ট ২০২৪ থেকে পলাতক রয়েছেন।