ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা থেকে কন্টিনারে করে গ্যাস নেয়া সুন্দরবন-ইন্ট্রাকোর সাথে শৈ^রাচার আওয়ামীলীগের চুক্তি বাতিল করে ভোলার গ্যাস ভোলার ঘরে ঘরে চাই, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুত প্লান্ট, শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ভোলায় সরকারি সফর কালে শুক্রবার (১ নভেন্বর) ভোলা সার্কিট হাউজে ভোলা গ্যাস রক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান হিরনের স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা গ্যাস রক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি মোবাশ্বের উল্ল্যাহ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক বৃন্দ, প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান হিরন, সংগীত শিল্পি মনির চৌধুরী প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ থাকা সত্বেও ভোলার মানুষ গ্যাসের ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। বিগত শৈ^রাচার আওয়ামী সরকার ভোলার প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান, বিদ্যুত প্লান্ট স্থাপন, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলায় গ্যাস ব্যবহারের ওয়াদা দিয়েছিল এবং ওয়াদা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোলা পৌর এলাকায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে ৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসায়। ৬ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ডিমান্টনোট ও টাকা জমা নেয়া হয়েছে এবং ওই পাইপলাইন থেকে ২৫০০ পরিবারকে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। ভোলায় গ্যাস সংযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সুন্দরবন গ্যাস কো¤পানি পৌর এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করে। সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী চক্রান্তে ভোলার গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে সুন্দরবন কো¤পানীকে ইন্ট্রাকোর সাথে অসম চুক্তি করতে বাধ্য করে। চুক্তি অনুযায়ী ইন্ট্রাকো কো¤পানি গত জানুয়ারি মাস থেকে সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস ভোলার বাহিরে নিয়ে বিক্রি করা শুরু করেছে। আমরা ব্যক্তি স্বার্থে করা সুন্দরবন ইন্ট্রাকো চুক্তি বাতিল করে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান, ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলাসহ দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে যৌক্তিক দাবি করে আসছি। ভোলা হাজার হাজার গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী বেকার। ভোলা হচ্ছে খাদ্যশস্যের উদ্বৃত্ত জেলা। প্রতি বছর ভোলা থেকে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ভোলার বাহিরে যায়। ভোলার মেঘনা তেতুলিয়া থেকে মৎস্য সম্পদ ভোলা থেকে বাহিরে যায়। ভোলা থেকে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হয়েছে, অথচ ভোলা জেলার ২০ লক্ষ মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই গ্যাস বাহিরে নেবার আগে ভোলা বাসীর যৌক্তি দাবী গুলো মেনে নিতে হবে। বর্তমানে সুন্দরবন-ইন্ট্রাকোর ভোলার গ্যাস নিয়ে র্দূনীতি করছে, চুরি হচ্ছে লাখ লাখ কন্টিনার গ্যাস, দেখার কেউ নাই, এই চুরি বন্ধ করতে হবে।
ভোলা গ্যাস রক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলনের দাবিগুলো হলো-ভোলার প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। বৃহৎ সার কারখানাসহ ভোলায় ইপিজেড গড়ে তুলতে হবে। ভোলাবাসীর চিকিৎসা সুবিধার্থে ভোলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলা-বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলা বরিশাল ব্রীজের উন্নয়ন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।