নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সদর ভবানীগঞ্জ পৌরসভা ও তাহেরপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাসের বোতল। সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না বিক্রেতারা। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে অসাধু কিছু বিক্রেতারা সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০- ২৫০ টাকা বেশি আদায় করছে। অসাধু ওই ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের প্রতিটি বোতল বিক্রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর কোন প্রতিকারের উদ্যোগে নিচ্ছে না। ফলে ভোক্তারা বাধ্য হয়েই ওই বাড়তি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার কিনছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারন করে বর্তমান সরকার। একই সঙ্গে প্রতিটি দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেনিকা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি এ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি)। অক্টোবরের জন্য প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা। এসব সিলিন্ডর বাসা-বাড়ির গৃস্থলির কাজে বেশি ব্যবহার হয়। কিন্তু খুরচা পর্যায়ে সরকারি নির্ধারিত দাম ও মূল্য প্রদর্শনের নির্দেশনা কোনটাই মানছে না বিক্রেতা। উল্টো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে তারা ২০০- ২৫০ টাকা বেশি আদায় করছে। উপজেলার তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ, ভবানীগঞ্জ, মচমইল, হাটগাঙ্গোপাড়া সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারের কথিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ১২ কেজির এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০-১৬৫০ টাকা। আবার কোন কোন দোকানে এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় কোম্পানীর সাপ্লাই অনেক কম। এই অজুহাতে অনেকে বাড়তি দাম আদায় করতে পারে। দোকানে মূল্য তালিকা লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী বলেন, মূল্য চার্ট লাগানোর কথা আমাদের জানা নেই। অনেক সময় চার্ট টাঙ্গালে আমাদের লসে পড়তে হয়। ওই লস কি সরকার আমাদের পুষিয়ে দিবে পাল্টা প্রশ্ন করেন ওই ব্যবসায়ী। একাধিক খুরচা বিক্রেতারা দাবী করেন, তাদের কাছে থেকে ডিলাররা প্রতি সিলিন্ডার ১ হাজার ৫৫০ টাকা দাম রাখেন। সঙ্গে আছে গাড়ি ভাড়া। এ জন্য তারাও বেশি দাম রাখেন। একাধিক খুরচা বিক্রেতারা বলেন, তারা ডিলারদের প্রতিনিধির কাছে মেমো চাইলে তারা গ্যাস না দেওয়ারও হুমকি দেন। এখানে আমরা পরিস্থিতিরি শিকার। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই। তাদের দাবী এটা শুধু বাগমারার চিত্র নয় গেটা বাংলাদেশের একই অবস্থা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত দাম ঠিক রাখতে শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। কেউ বেশি দাম রাখলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।